ব্যাংক খাতে সব দেশেই চুরি হয় : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘ব্যাংক খাতে সব দেশেই চুরি হয়। আমাদের দেশে একটু বেশি হয়েছে। এখন আমরা চেষ্টা করছি এটার রাশ টেনে ধরার।’
আজ শুক্রবার বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, ‘সরকারি ব্যাংকগুলো লুটপাটের মাধ্যমে দেউলিয়া করে দেওয়া হয়েছে। সরকার এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ওপর হাত দিচ্ছে। আপনি ব্যাংক খাতে সুশাসনের কথা বলেছেন। ব্যাংক লুটপাট হলে ওই সুশাসন হবে কি না?’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে না। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ৮০ ভাগ আসে বেসরকারি খাত থেকে। ২০ ভাগ আসে সরকারি খাত থেকে। কাজেই বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী হবে না।’
অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, বিএনপির মতো রাজনৈতিক দল সংসদের বাইরে, এ রাজনৈতিক ঘাটতি রেখে বাজেটের ঘাটতি পূরণ সম্ভব কি না।
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শের প্রতিফলন হয়েছে। তবে বাজেট হল জনগণের জন্য। কেউই জনগণের বাইরে নয়। তবে রাজনৈতিক ঐক্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জ্বালাও, পোড়াও কর্মসূচি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
মুহিত বলেন, ‘২০১৪-১৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগ কম হয়েছে। তবে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসায় বিনিয়োগে ভালো রেজাল্ট পাচ্ছি।’
জ্বালানি তেলের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কমে না, এটা ঠিক নয়। তবে যে পরিমাণ কমানোর দরকার ততটা হয়নি। ধীরে ধীরে সমন্বয় করা হবে।’
কোন খাতে বরাদ্দ বেশি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জ্বালানি, সড়ক ও অবকাঠামো খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।