কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদক উদ্ধার করে বিক্রির অভিযোগে এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ এক নির্দেশ দিয়ে তাঁদের কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করেন।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন ভৈরব থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন ও গাড়িচালক কনস্টেবল মো. মামুন। তবে আরো তিন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ সুপার তলব করেছেন বলে জানা যায়।

পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা গত বুধবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর টোলপ্লাজা নাটাল মোড়ে একটি গাড়ি তল্লাশি করে সাত কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। আটকের পর গাঁজা রেখে মাদক ব্যবসায়ীকে ছেঁড়ে দেন তাঁরা।

পরে তাঁরা দুজন উদ্ধার হওয়া গাঁজা গোপনে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করেন। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মো. শাহিন জানার পর জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা ঘটনাটি স্বীকার করেন।

পুলিশ সুপার ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করেন এবং তিনজন কনস্টেবলকে তলব করেন তাঁর কার্যালয়ে। এঁরা হলেন কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন ও রাজীবুল ইসলাম। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নির্দেশ আসার পর ভৈরব থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন ও গাড়িচালক কনস্টেবল মো. মামুন বৃহস্পতিবার বিকেলে ভৈরব থানা থেকে রিলিজ হয়ে পুলিশ লাইনে যোগ দেন।

ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিনের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি দুই পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার হওয়ার কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন। তবে বিস্তারিত জানাতে তিনি অস্বীকার করেন।

জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ মোবাইল ফোনে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয় এবং সেদিন ডিউটিতে থাকা আরো তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করার পর বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।