নারায়ণগঞ্জে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়ন করতে নগরীর চাষাঢ়ায় চেকপোস্ট বসিয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় লকডাউনের নিয়ম না মেনে বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাফেরা করায় বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা ও ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

পাশাপাশি কয়েকটি বেকারির দোকানের বিক্রেতা মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার না করে পণ্য বিক্রি করায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ’লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। রাস্তায় চলাচলকারী মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যারা উপযুক্ত জবাব দিতে পেরেছেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর যারা একেবারেই বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছেন এবং যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।’

পলাশ বসু আরো বলেন, ‘খাবারের দোকানে অবাধে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়। কয়েকটি বেকারির দোকানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার না করাসহ এই ধরনের কাজ করতে দেখা গেছে। তাদেরও জরিমানা করা হয়েছে।’ মানুষকে সচেতন হওয়াসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

র‌্যাব ১১-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ করোনা ঝুঁকির জেলা হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। এর পরও অনেকে সরকারের আদেশ অমান্য করায় তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’