পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত মো. হালিম ঢালী (৪৪) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মাঝেরপুল এলাকার বাসিন্দা।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা মামলা সূত্রে জানান, ২০১৩ সালে একই উপজেলার সেনের টিকিকাটা গ্রামের মৃত মতি মিয়ার মেয়ে হাসি বেগমের (২৪) সঙ্গে হালিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই হাসিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে প্রথম স্ত্রী এবং বোনের সহায়তায় হাসিকে মারধোর করে মারাত্মকভাবে আহত করেন হালিম। এরপর হাসিকে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয় হাসির পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ মে মারা যান হাসি। এ ঘটনায় মৃত হাসির মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১১ মে মঠবাড়িয়া থানায় হালিম, তাঁর প্রথম স্ত্রী এবং বোনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

এরপর ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে হাসির স্বামী হালিম বাদে অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন আদালত।