ফ্লাইট এক্সপার্ট’র দুই কর্মকর্তা দুদিনের রিমান্ডে

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’র দুই কর্মকর্তার দুদিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক এ আদেশ দেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন—প্রতিষ্ঠানটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২ আগস্ট আসামি সাঈদ ও সাদাত হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্য আসামি হলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ফিন্যান্স সাকিব হোসেন (৩২)।
আসামিদের গ্রেপ্তারের দিন রাতে বিপুল সরকার নামে এক গ্রাহক মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। বাকি দুজন আসামি হলেন—ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তার বাবা এম এ রাশিদ।
এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এক্সপার্ট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি ও হাজারো গ্রাহক। তারা অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছিলেন। ফ্লাইট এক্সপার্টের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ছেড়েছে। এতে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কোটি কোটি টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী বাদী বিপুল সরকার আসামিদের বিরুদ্ধে চার কোটি ৭৯ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন।
২০১৭ সালের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজারভেশন (কক্ষ সংরক্ষণ), ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন সেবা দিত তারা। বিশেষ করে কম খরচে সহজে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধার কারণে প্ল্যাটফর্মটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।