চাকরি বাঁচাতে শিমুলিয়া ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের ঢল

বেশিরভাগ পোশাক কারাখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় ঢাকায় ফিরতে মরিয়া শ্রমিকরা। এজন্য মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আজ রোববার সকাল থেকে চাকরি বাঁচাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জমুখী শ্রমজীবী মানুষের ঢল দেখা গেছে।
তবে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। অতিরিক্ত ভাড়া গুণে বিভিন্ন যানবাহন পাল্টে কর্মস্থলে ছোটে তারা। অনেকে বেশি ভাড়ায় মিশুক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে গন্তব্যে রওনা দেয়। কেউ আবার পিকআপভ্যান ভাড়া করে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে শ্রমজীবী মানুষকে ফেরিতে নদী পার হতে দেখেছি। তিনটি ফেরিতে মানুষের চাপই ছিল বেশি।’
শিমুলিয়া ঘাটের অন্য পাশে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রয়েছে। তারা যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ফেরিতে উঠতে দেন বলে জানান সিরাজুল ।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ছোট পরিবহন চলাচলের অনুমতি আমরা দেই না। তাই ছোট বাহনে করে অনেক রাস্তা ঘুরে তারা ঢাকার বাবুবাজারের দিকে যায়। সেখান থেকে পরিবহন পাল্টে গন্তব্যে রওনা দেয় তারা। এ ঘাট দিয়ে দিনের বেলায় দুই থেকে তিনটি ফেরি চললেও এখন রাতে চলে ছয়টি ফেরি। তবে ফেরিগুলো সবই পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করে। যাত্রীবাহী কোনো বাস নেই।’
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার করেছি। দিনের চেয়ে রাতেই ওসব গাড়ির চাপ বেশি থাকে। তা ছাড়া এখন শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের উদ্দেশে যাওয়ার পরিবহন তেমন নেই। এ পাশে ঘাট একেবারে ফাঁকা। দুই একটি জরুরি সেবার গাড়ি এলেই ফেরিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।’