কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেরুল ইসলাম ও মো. বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম চার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এক আসামি পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার তারিক, কামাল রেজা নিপু, সিরাজুল ইসলাম মাসুদ ও রায়হান আলী এবং সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের সিদ্দিক (পলাতক)। এই মামলা থেকে অপর ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট সন্ধ্যার পর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বাজার এলাকায় একটি দোকানের পাশে বসে ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেরুল ইসলাম, কলেজ শিক্ষক মোহনসহ আরও কয়েকজন। এ সময় সাত থেকে ১০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে।

এতে আওয়ামী লীগনেতা মেহেরুল ইসলাম এবং কলেজ শিক্ষক মোহন মারা যান। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও কয়েকজন। ঘটনার দুই দিন পর ভেড়ামারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে এই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ২২ জুলাই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজম খান। সেই মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে এবং ১৬ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আজ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেরুল ইসলাম ও কলেজশিক্ষক মো. বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে গুলি করে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।’