সাইবার বিভ্রাটে ইউরোপে উড়োজাহাজ চলাচলে অচলাবস্থা

সাইবার বিভ্রাটের কারণে ব্রাসেলস, বার্লিন ও লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরসহ ইউরোপের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। কলিন্স এরোস্পেস নামের বিমানবন্দর পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ‘সাইবার-সংক্রান্ত বিভ্রাটের’ কারণে এয়ারলাইন্সগুলোর চেক-ইন ও ব্যাগেজ ড্রপ ব্যবস্থায় সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে ফ্লাইটগুলোর ওঠা-নামায় দেরি হচ্ছে। খবর এএফপির।
একাধিক ব্যস্ত ইউরোপীয় বিমানবন্দর এমন সাইবার বিভ্রাটের শিকার হওয়ার খবর দিয়েছে। ফ্লাইটের দেরি ও বাতিল হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করার পর কলিন্স এরোস্পেস জানায়, তারা কিছু নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে তাদের এমইউএসই সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাইবার সম্পর্কিত জটিলতার বিষয়ে জানতে পেরেছে।
কলিন্স এরোস্পেস আরও জানায়, সাইবার বিঘ্নের এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে ইলেকট্রনিক কাস্টমার চেক-ইন ও ব্যাগেজ ড্রপের কাজগুলোর ওপর। তবে এই প্রক্রিয়াটি ম্যানুয়াল চেক-ইন কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাল দেওয়া সম্ভব।
ব্রাসেলস বিমানবন্দর জানায়, শুক্রবার রাতে ‘সাইবার-আক্রমণে’র কারণে সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর অন্তত ১০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং আরও ১৭টি ফ্লাইট ছাড়তে এক ঘণ্টারও বেশি দেরি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্রাসেলস বিমানবন্দরে শুধু ম্যানুয়াল চেক-ইন এবং বোর্ডিং কার্যক্রম চলছে। বিমানবন্দরটি শনিবার যাত্রীদের বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে তাদের ফ্লাইটের অবস্থা যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে।

ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর লন্ডনের হিথ্রো জানায়, তাদের চেক-ইন এবং বোর্ডিং সিস্টেম কারিগরি সমস্যার শিকার হয়েছে এবং এর কারণে যাত্রীদের বিমানবন্দর ছাড়তে দেরি হচ্ছে। এখানকার চেক-ইন ও বোর্ডিং ব্যবস্থা কলিন্স এরোস্পেসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
এ ছাড়া বার্লিন বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে একটি ব্যানার লেখা রয়েছে, সিস্টেম প্রদানকারী সংস্থার কারিগরি সমস্যার কারণে ইউরোপজুড়ে চেক-ইনে অপেক্ষার সময় দীর্ঘ হচ্ছে।