গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব, হামাসের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় মধ্যস্থতাকারীরা

মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে হামাসের কাছে। এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হলো— একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য পথ তৈরি করা। প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ধাপে ধাপে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই প্রস্তাবে। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, এটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য একটি কাঠামোগত চুক্তি।
কায়রোতে হামাসের আলোচকরা এই নতুন প্রস্তাবটি পেয়েছেন। এই প্রস্তাবে কয়েকটি ধাপে কার্যক্রম পরিচালনার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, যার আওতায় ইসরায়েলি হামলা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি, দুই ধাপে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রস্তাবটি পাওয়ার পর হামাস তাদের নিজস্ব নেতৃত্বের মধ্যে অভ্যন্তরীণ আলোচনা শুরু করেছে। একই সঙ্গে, তারা অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলগুলোর নেতাদের সঙ্গেও এটি নিয়ে পর্যালোচনা করবে।
মিশর এই শান্তি প্রক্রিয়ার মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি সম্প্রতি রাফা সীমান্ত ক্রসিং পরিদর্শনকালে বলেছিলেন, আমরা এখন যেভাবে কথা বলছি, তাতে পদ্ধতিগত হত্যাকাণ্ড ও অনাহার বন্ধ করার প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য মিশরের মাটিতে ফিলিস্তিনি এবং কাতারি প্রতিনিধিদল উপস্থিত রয়েছে। তার এই মন্তব্যের পরই গাজায় শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে আশাবাদ তৈরি হয়।

গাজায় গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মানবিক পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় এই নতুন প্রস্তাবটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এটি সফল হবে কিনা, তা নির্ভর করছে হামাসের সিদ্ধান্তের ওপর।