গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার অনুমতি দিচ্ছে ইসরায়েল

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ধারাবাহিক হামলার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে গাজা উপত্যকা। চরমে পৌঁছেছে মানবিক সংকট। ইসরায়েলের বাধার কারণে স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। খাবার, পানি ও চিকিৎসা সংকটে মারা যাচ্ছে শতশত ফিলিস্তিনি। যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার অনুমতি দিচ্ছে ইসরায়েল। খবর বিবিসি ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
ইসরায়েলের সামরিক-বেসামরিক সমন্বয়কারী সংস্থা (কোগাট) জানিয়েছে, গত বছর যেভাবে দেশগুলো বিমান থেকে ত্রাণ ফেলেছিল, এবারও তারা সেই প্রক্রিয়া আবার শুরু করতে পারবে। ইসরায়েল খুব শিগগিরই গাজায় বিমান থেকে মানবিক ত্রাণ ফেলার জন্য জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অনুমতি দেবে।
কোগাট আরও জানিয়েছে, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার এই কার্যক্রম ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এর সঙ্গে সমন্বয় করে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, জর্ডানই প্রথম বিমান থেকে ত্রাণ ফেলবে, যা আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতের মধ্যেই শুরু হতে পারে।
গত বছর কিছু দেশ বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার ব্যবস্থা করেছিল। তবে, সে সময়েও সাহায্য সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছিল যে, এটি গাজায় জরুরি সরবরাহ পৌঁছানোর একটি অদক্ষ ও অপর্যাপ্ত উপায়।
সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছিল, স্থলপথে বৃহৎ পরিসরে ত্রাণ পৌঁছানোই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি, কিন্তু ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার পদ্ধতি একদিকে যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি ত্রাণের সামগ্রী সঠিক স্থানে পৌঁছানো ও বিতরণ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এতে অনেক ত্রাণ সমুদ্র বা ভুল এলাকায় পড়ে যায়, যা মানুষের কাজে আসে না।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা বারবার গাজায় খাদ্য, পানি, ঔষধ এবং অন্যান্য জরুরি সরবরাহের অভাবের বিষয়ে সতর্ক করে আসছে। ইসরায়েলের অব্যাহত সামরিক অভিযান ও কঠোর অবরোধের কারণে গাজার বেশিরভাগ মানুষ মারাত্মক খাদ্য সংকটে ভুগছে, গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। পানিবাহিত রোগের প্রকোপও ১৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফ্যাম।