মক্কায় চালু হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীতলীকরণ ব্যবস্থা

সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীতলীকরণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই শীতলীকরণ ব্যবস্থা মূলত দুটি স্টেশনের ওপর নির্ভরশীল এবং এর বাতাস শীতলীকরণ ক্ষমতা মোট এক লাখ ৫৫ হাজার টন। এ বছর আগামী ৪ জুন হজকে সামনে রেখে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ ও মদিনার নববী মসজিদে কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা চালু করেছে।
জানা গেছে, মোট এক লাখ ৫৫ হাজার টন থার্মাল ইউনিট পরিমাণ বাতাস শীতল করা সম্ভব হবে এতে। এটি হাজিদের স্বস্তি দিতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বাতাস শীতলীকরণ করে। গ্র্যান্ড মসজিদ প্রাঙ্গণ ও করিডোরসহ গোটা মসজিদই এই শীতলীকরণের আওতায় থাকবে। গ্র্যান্ড মসজিদ ও নববী মসজিদের তত্ত্বাবধানে থাকা জেনারেল অথরিটি এই ব্যবস্থা পরিচালনা করছে।
এই শীতলীকরণ ব্যবস্থা নির্ভর করে মূলত দুটি স্টেশনের ওপর। একটি হচ্ছে, গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে ৯০০ মিটার দূরের আল-শামিয়া স্টেশন, যার বাতাস শীতলীকরণ ক্ষমতা এক লাখ ২০ হাজার টন। অপর স্টেশনটি হচ্ছে গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে ৫০০ মিটার দূরের আজিয়াদ স্টেশন, যার বাতাস শীতলীকরণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার টন।
গোটা মসজিদ কমপ্লেক্সকে শীতল রেখে হাজিদের জন্য মাঝারি ও স্বস্তিদায়ক তাপমাত্রা নিশ্চিত করে এই দুই স্টেশন। বাতাসের মান ঠিক রাখতে এই শীতলীকরণ ব্যবস্থায় দিনে ৯ বার বাতাস বিশুদ্ধ করা হয়। এই বিশুদ্ধীকরণ প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে গ্র্যান্ড মসজিদ জুড়ে বাতাস ছড়িয়ে পড়ার আগে তা ৯৫ শতাংশ জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়।
এতে হাজিরা পরিষ্কার এবং নিরাপদ পরিবেশে হজ পালন করতে পারে, বিশেষ করে তীব্র গরমের সময়ে। কর্তৃপক্ষ সবসময়ই এই শীতলীকরণ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।
গত বছর তীব্র গরমের কারণে হজ করতে গিয়ে বহু মুসল্লির মৃত্যুর ঘটনায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। এক হাজারের বেশি হাজির মৃত্যু হয় গতবছর। অনুমোদন ছাড়া হজে অংশ নেওয়া, তীব্র তাপমাত্রা ও গরমের মধ্যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ছাড়া লম্বা দূরত্বে হাঁটার কারণে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।