৫ হাজার হাজিকে ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা ফেরত দেবে সরকার
বাড়ি ভাড়া হিসেবে কম খরচ হওয়ায় সরকারি মাধ্যমে হজ করতে যাওয়া প্রায় পাঁচ হাজার জনকে আট কোটি ২৮ লাখেরও বেশি টাকা ফেরত দেবে সরকার। এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘সরকারি মাধ্যমের চার হাজার ৯৭৮ জন হাজিকে আমরা সর্বমোট আট কোটি ২৮ লক্ষ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত প্রদান করব।’
আজ রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা খালিদ হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তরিক সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনার কারণে এবার কোনো হজযাত্রীকে এয়ারপোর্টের কাঁদতে হয়নি বলে জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো হজযাত্রী যেন হজে যাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়, এবার সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পেয়ে, কোনো হজ এজেন্সির ওপরে একক নির্ভরতা না রেখে, মন্ত্রণালয় থেকেই সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে প্রায় ৮৭ হাজার হজযাত্রীর সবাইকে সুষ্ঠুভাবে হজ করিয়ে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে সবাই পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন।’
উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যবসায়িক কোনো উদ্দেশ্য নেই, হাজীদের সেবা করাই সরকারের একমাত্র ব্রত। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে যাওয়ার পরও প্রধান উপদেষ্টা নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। তিনি হজের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘বরাবরই প্রধান উপদেষ্টার একটাই নির্দেশনা ছিল, যাতে কোনো হজযাত্রী ভোগান্তির শিকার না হয়, কষ্ট না পায়। নির্দেশনা মতো, আমরা সেভাবেই কাজ করে গেছি এবং সফলতা পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।’
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘আপনারা অবগত আছেন, ৮ জুলাই হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় এবং ১০ জুন থেকে হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়। ১০ জুলাই হজের ফিরতি ফ্লাইট শেষ হয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত ৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ৯ জন বাদে সব হাজি (৮৭ হাজার ১৪৫ জন ব্যবস্থাপনাসহ) দেশে ফিরেছেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যে হাজিরা সৌদি আরবে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুজনকে বিশেষ ব্যবস্থায় মেডিকেল বেডের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে আরও পাঁচজনকে মেডিকেল বেডের মাধ্যমে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে, রোগীদের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা সাপেক্ষে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রেরিত হজ যাত্রীদেরকে হজ প্যাকেজ অনুযায়ী প্রতিশ্রুত সব সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি হজযাত্রীদের জন্য ভাড়াকৃত হোটেলে সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত একাধিক কর্মকর্তাসহ একটি টিম নিয়োজিত রেখে হাজীদের সেবা দেওয়া হয়েছে। মক্কা ও মদিনায় স্থাপিত মেডিকেল সেন্টার ও জেদ্দা বিমানবন্দরে বাংলাদেশ প্লাজায় হাজীদেরকে মেডিকেল সেবা প্রদান করা হয়েছে। হজযাত্রীদের হজ পালন সহজ ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রতি ৪৬ জন হাজীর জন্য একজন হজ গাইড নিযুক্তির পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে মিনা ও আরাফার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে এ বছর হজযাত্রী হারানো সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ বছর ৮৯২ জন হজযাত্রী হারানো গিয়েছিলো, যার মধ্যে ৮৯১ জনকেই খুঁজে পাওয়া গেছে। ৮২ বছর বয়স্ক একজন হজযাত্রীকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের হজ মিশন এখনও তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, এ বছর হজযাত্রী মৃত্যুর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। মোট ৪৫ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এদের সবারই নানা ধরনের জটিল রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্তের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জও কিছুটা কমেছে। ইতোমধ্যে আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব চূড়ান্ত করেছি। সরকারি মাধ্যমে প্রত্যেক হাজিকে আমরা প্যাকেজের উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত প্রদান করব। সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এর হাজিদেরকে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ৪ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৩ হাজার ২৭ টাকা ফেরত পাবেন। ৫ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৩ হাজার ৫৭০ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোনো হাজি রাখা হয়নি। ৬ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫ হাজার ৩১৫ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতেও শর্ট প্যাকেজের কোনো হাজি রাখা হয়নি।’
ধর্ম উপদেষ্টা ব্বলেন, ‘সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর হাজিদেরকে ১, ২ ও ৩ নম্বর বাড়িতে রাখা হয়। ১ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ১৯ হাজার ১৯২ টাকা, শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫১ হাজার ৬৯২ টাকা ফেরত পাবেন। ২ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২১ হাজার ১৪২ টাকা ফেরত পাবেন এবং শর্ট প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ৫৩ হাজার ৬৪২ টাকা ফেরত পাবেন। ৩ নম্বর বাড়িতে পূর্ণ প্যাকেজের হাজিরা প্রত্যেকে ২৪ হাজার ২৬২ টাকা ফেরত পাবেন, এ বাড়িতে শর্ট প্যাকেজের কোনো হাজি রাখা হয়নি। সরকারি মাধ্যমের চার হাজার ৯৭৮ জন হাজিকে আমরা সর্বমোট আট কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত প্রদান করব।’
উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই টাকা হাজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠানো হবে। আমি আপনাদের মাধ্যমে সম্মানিত হাজিসহ সকল দেশবাসীর উদ্দেশ্যে স্পষ্ট একটি বার্তা দিতে চাই। সেটা হলো, হাজিদের রিফান্ড/ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান/দুস্থদের আর্থিক সহায়তাসহ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এরূপ টাকা পাঠাতে মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে ফোন কিংবা তার কাছ থেকে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের নম্বর কিংবা বিকাশ/নগদ/রকেট-এর কোনো পিন নম্বর চাওয়া হয় না। এমনটি যদি কেউ করে, তাহলে আপনারা নিশ্চিত জেনে রাখুন সে প্রতারক। এরূপ প্রতারক থেকে সাবধান থাকুন।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, হজ ব্যবস্থাপনা একটি দ্বি-রাষ্ট্রীক প্রক্রিয়া। সৌদি সরকার ও হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোর মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদিত হয়ে থাকে। তবে নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলোতে সৌদি সরকারই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। আমাদের মতো হজযাত্রী প্রেরণকারী অন্যান্য দেশগুলো সৌদি সরকারের নীতি, পলিসি ও গাইডলাইন অনুসরণ করে হজ ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। ২০২৫ সালে হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের গাইডলাইন অনুসারে আমরা সব প্রক্রিয়া সুচারুরূপে যথাসময়ে সম্পাদন করেছি। সর্বোপরি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা একটি টিম স্পিরিট নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।’
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘এর ফলে, এ বছর হজে যেতে না পারার বেদনায় কাউকে কাঁদতে হয়নি। কোনো হজ ফ্লাইটে বিপর্যয় হয়নি। হজযাত্রীদের মধ্যে কোনরূপ হট্টগোল, হৈ চৈ বা শোরগোল দেখা যায়নি। বাংলাদেশের নিবন্ধিত শতভাগ হজযাত্রী হজ পালন করতে পেরেছেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনা একটি মাইলফলক।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনার যাত্রাটি আমাদের জন্য সহজ ছিল না। জুলাই বিপ্লবের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বছর হজ ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ ছিল, সংকট ছিল। এ ছাড়া হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সৌদি সরকারও নতুন নতুন বেশ কিছু নিয়ম-কানুন বা বিধি-নিষেধ আরোপ করে। এ ছাড়া হাবের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে কিছুটা সংকট ছিল। উপরন্তু, এ সরকারের সময়ে হজের খরচ কমানোসহ সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে, এরূপ জন-আকাঙ্ক্ষা ছিল। এরূপ নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকটের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সম্পন্ন করতে হয়েছে।’
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, ‘এ বছর এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম সংখ্যা বা কোটা নিয়ে একটি সংকট তৈরি হয়েছিল। সৌদি সরকার প্রথমে হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা ২ হাজার জন নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীর সঙ্গে আমি বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে এই কোটা এক হাজার নির্ধারণ করাতে সক্ষম হই। তবে লিড এজেন্সি গঠন নিয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। শেষ অবধি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ এবং হজ এজেন্সিগুলোর সহযোগিতায় আমরা এ সংকট উত্তরণে সমর্থ হই। আমি এ বছরও হজ শেষে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টারের সঙ্গে দেখা করে তাকে এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা এক হাজার রাখার জন্য অনুরোধ করেছি। এ ছাড়া মিনা ও আরাফায় বেডের সাইজ বৃদ্ধি, টয়লেটের সংখ্যা বৃদ্ধি ও নিরবচ্ছিন্ন পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। এ সময় আমার সচিবও সঙ্গে ছিলেন।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘হজযাত্রীদের জন্য মিনা ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ গ্রহণ এবং ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে বাড়িভাড়া, পরিবহণ চুক্তি ও হজযাত্রীদের ভিসার বিষয়টিও আমরা যথাসময়ে সম্পন্ন করতে সক্ষম হই। এক্ষেত্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, হাবের নেতা ও হজ এজেন্সির ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এ বছর হজের সফরকে সহজ, নিরাপদ ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিরসনে তৈরি করা হয় ‘লাব্বাইক’ মোবাইল অ্যাপস, প্রি পেইড কার্ড ও সাশ্রয়ী রেটে বিশেষ ফোন রোমিং প্যাকেজ বিশেষ সহায়ক হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, এই তিনটি সার্ভিস চালু বা সহজীকরণের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। এজন্য আমি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনা একটি টিম ওয়ার্ক। সবাই টিম স্পিরিট নিয়ে কাজ করতে পারলে হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর ও সাবলীল হবে- এটাই স্বাভাবিক। এ মৌসুমে হজ ব্যবস্থাপনায় টিম স্পিরিটেরই প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা সম্মানিত প্রত্যেক স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের অকুণ্ঠ সহযোগিতা করেছেন, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সাউদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদারসহ হাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও হজ এজেন্সিগুলো দায়িত্বশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। আমি প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনার জন্য আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আন্তরিকতার সঙ্গে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও আমার সচিব, আমার দপ্তরের পিএস, পিআরও ও হজ শাখার কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অফিস করেছেন। যখনই কোনো বিষয় সামনে এসেছে কিংবা কোনো ইস্যু সামনে আসতে পারে, এ ধরনের সম্ভাব্য বিষয়গুলো নিয়ে তারা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে, তার যৌক্তিক সমাধান করছেন। এক্ষেত্রে আমার সচিব পেশাদারিত্ব ও দূরদর্শিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি আমার মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’