পাঁচ মাসে হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে এক হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ ভারতীয় বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য জানান। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। খবর বিবিসির।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারত ‘সঠিক কাজটি করবে।’ গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক ফ্লাইটে শতাধিক ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন কিছু গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, তাদের হাতকড়া পরিয়ে আনা হয়েছিল।
মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘অভিবাসন ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। ভারত তাদের ফেরত নেওয়ার আগে জাতীয়তা যাচাই করে।’ সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের মার্কিন দূতাবাস একটি সতর্কতা জারি করে জানায়, যারা বৈধভাবে প্রবেশ করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করলে প্রত্যর্পণ বা সে দেশে স্থায়ীভাবে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন।
জয়সওয়াল ট্রাম্প প্রশাসনের ছাত্র ভিসা সংক্রান্ত হালনাগাদ নীতি নিয়েও কথা বলেন, যা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করতে পারে। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে, তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি স্থগিত করেছে, কারণ তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যকলাপের নজরদারি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে।
এই বিষয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘যদিও আমরা মনে করি যে ভিসা প্রদান একটি সার্বভৌম কাজ, আমরা আশা করি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আবেদন মেধার ভিত্তিতে বিবেচিত হবে এবং তারা সময়মতো তাদের একাডেমিক প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারবে।’

জয়সওয়াল আরও জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৩০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। দেশটির আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে ভারতকে বিবেচনা করা হয়।
মার্কিন নতুন ভিসা নীতিতে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, দেশটি ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসাও বাতিল করার’ কাজ করছে।