যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা হতে চায় ক্যালিফোর্নিয়া

এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ ‘ক্যালেক্সিট’। নতুন এই শব্দ আসলে ক্যালিফোর্নিয়া এক্সিটের সংক্ষিপ্ত রূপ। আর এই ক্যালেক্সিট এসেছে ‘ব্রেক্সিট’-এর অনুকরণে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন ভেঙে আলাদা হওয়াকে যেমন ব্রেক্সিট বলা হচ্ছে, তেমনি এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা হতে চাইছেন ক্যালিফোর্নিয়াবাসী। আর পেছনের একটি বড় কারণ হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া। গতকাল রাত থেকেই ক্যালেক্সিটের দাবি তুলছেন ক্যালিফোর্নিয়াবাসী।
অবশ্য ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইনডিপেনডেন্স ক্যাম্পেইন নামে একটি সংগঠন ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার বহু আগে থেকেই স্বাধীন ক্যালিফোর্নিয়ার জন্য আন্দোলন করছিলেন। ২০১৮ সালের মধ্যে স্বাধীন দেশ হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়াকে দেখতে চান তাঁরা। আর এবার ট্রাম্পের জয় সেই আন্দোলনকে আরো গতিশীল করল।
এই সংগঠনের দাবি, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে জিডিপির দিক থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল এই রাজ্যে অবশ্য ভোটে জিতেছেন হিলারি ক্লিনটন। তাই গত রাতে যখন ট্রাম্প ইলেক্টোরাল কলেজের সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন, তখনই ক্যালিফোর্নিয়াবাসী সিদ্ধান্ত নিলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার।
এরপরই টুইটারের ক্যালেক্সিট লেখা হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার অধিবাসীরা। ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন তাঁরা। ট্রাম্পের এই জয় তাঁদের ভিনদেশে অপরিচিত ব্যক্তির মতো অনুভূতি দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ক্যালিফোর্নিয়াবাসী। তাঁদের বহন করা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ক্যালিফোর্নিয়া একটি রাজ্য নয়, এটি একটি জাতি’, ‘ট্রাম্প আমাদের প্রেসিডেন্ট নয়’ ইত্যাদি।
ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়ার প্রধান লুইস ম্যারিনেলি জানিয়েছেন, তাঁদের অঙ্গরাজ্যের অধিবাসীরা স্বাধীনতার জন্য গণভোট চান। ২০১৮ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা হতে চান তাঁরা।