হিলারির ই-মেইল যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে, বললেন ট্রাম্প

চলতি বছর অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে। একই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটন অবশ্য এই ই-মেইল বিতর্কের জন্য কোনো ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন না।
বিবিসি জানায়, হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহারের বিষয়টি তদন্ত করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটি হিলারির বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধে অভিযোগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিচালক জেমস কমে বলেন, হিলারি ক্লিনটন তাঁর ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারের একশর বেশি ই-মেইলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এ জন্য হিলারিকে ‘চরম অসাবধান’ বললেও কোনো অভিযোগ করা হবে না বলে জানান জেমস কমে।
এফবিআইর ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বিরূপ মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এফবিআই হিলারির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না করার সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এফবিআইর কাজের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারে থাকা ৩০ হাজার ই-মেইল পরীক্ষা করেছে এফবিআই। দীর্ঘ চার বছর এসব ই-মেইল ওই সার্ভারে জমা হয়েছে। এসব ই-মেইলের অন্তত ১১০টিতে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ছিল।
হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার বিষয়ে এফবিআইর বিশ্লেষণ হলো, এই ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অন্য কারো ঢোকা সম্ভব ছিল। পাঠানো বা গ্রহণ করা ১০০টির বেশি ই-মেইলে গোপন বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। তবে সজ্ঞানে গোপন তথ্য অন্যকে জানিয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ হিলারির বিরুদ্ধে নেই। আর গোপন করার জন্য কোনো ই-মেইল মুছে ফেলেননি হিলারি।
এফবিআই কোনো অভিযোগ না করার সিদ্ধান্তের খবরের পরও বিষয়টি হিলারি সম্পর্কে বিতর্কের রসদ জোগাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।