অরলান্ডোতে হামলাকারীর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও আনা হচ্ছে অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরলান্ডোতে একটি সমকামী নাইট ক্লাবে বন্দুক হামলা চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর বিরুদ্ধেও এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হতে পারে।
ফক্স নিউজ ও রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, অভিযুক্ত বন্দুকধারী ওমর মতিনের স্ত্রী নূর সালমানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে গ্র্যান্ড জুরির কাছে অনুমতি চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে নূর সালমান পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ওই নাইট ক্লাবে হামলা না করতে স্বামীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি হলো এই নাইট ক্লাবে হামলার ঘটনা। ৪৯ জন নিহত হওয়া ছাড়াও এ হামলায় ৫৩ জন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। হামলার পর পুলিশের সঙ্গে ব্ন্দুকযুদ্ধে নিহত হন হামলাকারী ওমর মতিন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির বরাত দিয়ে ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ৪৯টি হত্যাকাণ্ড ও ৫৩ জনকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নূর সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে। কারণ, তিনি সঠিক সময়ে এ হত্যার পরিকল্পনার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেননি। মতিন যখন ক্লাবে গুলি চালাচ্ছিলেন, তখন সেখান থেকে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং সিএনএনকে বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে এই হামলার বিষয়ে তিনি (নূর) আগে থেকেই জানতেন। হামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশকে না দিয়ে বরং তিনি প্ররোক্ষভাবে হত্যাকাণ্ডেই সহযোগিতা করেছেন।’
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হয় যে, হত্যাকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত গুলি কেনার সময় ওমর মতিনের সঙ্গেই ছিলেন নূর সালমান। এ ছাড়া এর আগে একদিন পালস নাইট ক্লাব পর্যবেক্ষণে গেলে তিনিই গাড়ি চালিয়ে ওমরকে সেখানে পৌঁছে দেন।
তবে এনবিসি নিউজকে নূর সালমান বলেছেন, তিনি বারবার তাঁর স্বামীকে এই হামলা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন।
এদিকে ওমর মতিনের দ্বিতীয় স্ত্রী নূর সালমানও এই দম্পতির একমাত্র সন্তান এখনো ফ্লোরিডাতেই আছে বলে জানিয়েছেন ওমরের বাবা সিদ্দিক মতিন। তবে তাঁদের সঠিক অবস্থান জানাননি তিনি।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরলান্ডো শহরের পালস নৈশক্লাবে ওমর মতিন নামের বন্দুকধারী হামলা চালায়। হামলায় ৫০ জন নিহতের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। পরে এই সংখ্যা কমিয়ে ৪৯ করা হয়। হামলার পর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করে।