হিজাব সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগায়!

হিজাব পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগায় বলে মার্কিন সামরিকবাহিনীর এক মুখপত্রে বলা হয়েছে। ২০১১ সালে প্রকাশিত ওই মুখপত্রের সূত্র ধরে আজ বৃহস্পতিবার এই খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। দেশটির এয়ারফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রকাশ করা ওই নীতিনির্ধারণী সাময়িকীতে প্রকাশিত ‘চরম সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ : বৈজ্ঞানিক উপায় ও নীতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলমান নারীরা যে হিজার পরিধান করে, তা পরোক্ষ সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগায়।
একই বছরের জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জাতীয় সন্ত্রাসবাদ নীতি প্রণয়নের ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন করে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। গত জানুয়ারিতে এর সংশোধিত সংস্করণ পাবলিক ইন্টেলিজেন্স নামে একটি উন্মুক্ত গবেষণাবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। এরপর গতকাল বুধবার মার্কিন অনলাইন প্রকাশনা দ্য ইন্টারসেপ্ট ওই নীতিনির্ধারণী পত্রটির বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আর ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আজ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান।
নীতিনির্ধারণী পত্রটিতে বলা হয়, যারা হিজাব পরিধান করে এবং যারা সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদ করে না, তাদের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক রয়েছে। ধর্মীয় পোশাকের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের একটি সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্রে হিজাব পরোক্ষ সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগায়। হিজাবের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক বিষয়ক এই তত্ত্বটি প্রদান করেছেন তৌফিক হামিদ নামে স্বঘোষিত এক ধর্ম সংস্কারক। তবে ‘তথাকথিত এই ইসলামি চিন্তাবিদ ও সংস্কারক’ কিসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন, সে ব্যাপারে কোনো কিছুই জানাননি বলেও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।