চেন্নাইয়ে বন্যায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, হাসপাতালে ১৮ জনের মৃত্যু

টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় চারদিকের বেহাল অবস্থা। নেই বিদ্যুৎ, নেই টেলিযোগাযোগের ব্যবস্থা, নেই খাবার পানি। এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে হাসপাতালেও নিরাপদ নেই কেউ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় শহরটির মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি (এমআইওটি) হাসপাতালে ভেন্টিলেশন বন্ধ হয়ে ১৮ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় ওই হাসপাতালের ভেন্টিলেশন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়নি। এ কারণে গত কয়েকদিনে ১৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালে মোট ৫৭৫ জন রোগীর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৭৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এই ঘটনার পর বাকি ৫৭ জনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যসচিব জে রাধাকৃষ্ণান জানিয়েছেন, এমআইওটিতে ভর্তি থাকা বাকি রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো চেন্নাইয়ের বহু জায়গায় বন্ধ রয়েছে রেল, বিমান ও সড়ক যোগাযোগ। তবে শুক্রবার থেকে স্থানীয় অ্যাডেয়ার ও কুম্ভ নদীর পানি কিছুটা নামছে বলে জানা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। পানি জমে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এরই মধ্যে সাত হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে। এখনো বহু মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ এ বন্যায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮০ জনে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল বৃহস্পতিবার বিমানে করে চেন্নাইয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বন্যাকবলিতদের জন্য তিনি এক হাজার কোটি রুপির সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন।