শিশু যৌন নির্যাতনকারীকে নপুংসক করাই ভালো

শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনকারী ব্যক্তিকে নপুংসক করা সবচেয়ে ভালো সমাধান। ভারতের মাদ্রাজের হাইকোর্ট শিশু নির্যাতন বন্ধে এমন কঠিন শাস্তির কথা জানিয়েছেন। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক বিদেশির বিরুদ্ধে চলা এক মামলার আদেশে হাইকোর্ট এ কথা জানান।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারক এন কিরুবাকারান বলেন, শিশু নির্যাতন বন্ধের ক্ষেত্রে গতানুগতিক আইন ততটা শক্তিশালী নয়, তাই আকাঙ্ক্ষিত বিচার পাওয়া যায় না। নপুংসক করা অবশ্যই বর্বরোচিত।
তবে বর্বরোচিত অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তিও একই রকম হওয়া উচিত। অনেকেই হয়তো এর সঙ্গে একমত হবেন না। তবে বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি সবারই বোঝা উচিত। ওই বিচারক আরো বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শিশু যৌন নির্যাতনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার হার বেড়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু এমন অপরাধ বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। প্রতিদিনই গড়ে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায় আটটি।
বিচারক এন কিরুবাকারান আরো বলেন, রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে শিশু যৌন নির্যাতনকারীদের নপুংসক করার শাস্তি যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে কার্যকর রয়েছে। ভারতে এমন শাস্তি প্রচলন করা হলে শিশু যৌন নির্যাতনের হার জাদুর মতো কমে যাবে আশা করেন তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, পোল্যান্ড, রাশিয়া, এস্তোনিয়ায় শিশু যৌন নির্যাতনকারীকে নপুংসক করার শাস্তি প্রচলিত আছে। একই শাস্তি প্রচলিত আছে যুক্তরাষ্ট্রের নয়টি রাজ্যে যার মধ্যে আছে ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, অরেগন, টেক্সাস ও ওয়াশিংটন। এ ছাড়া এশিয়ার দেশ হিসেবে এই শাস্তি প্রচলন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এর আগে ২০১৩ সালে ভারতের দিল্লিতে নির্ভয়া (ছদ্মনাম) নামের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী গণধর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে নপুংসক করার শাস্তি প্রচলনের কথা বলেছিলেন তামিল নাডুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা।