কুরিয়ারে সাপ পাঠিয়ে স্ত্রীর পুরুষবন্ধুকে হুমকি!

মাত্র কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের এক বিখ্যাত জরিপ প্রতিষ্ঠানের ‘পরকীয়া’বিষয়ক এক আলোচিত গবেষণার ফল। সেখানে দেখা গিয়েছিল- মোবাইল, ফেসবুকের এই জমানায় পরকীয়া তথা সমাজস্বীকৃত সঙ্গী ছাড়াও অন্য মানুষে আসক্তির হার বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। অবশ্য পরকীয়া প্রেম এবং স্বামীর সন্দেহ, পরবর্তী ঝামেলা- এসব নিয়ে যুগে যুগে সৃষ্ট ঝামেলার অন্ত ছিল না। রাজরাজড়াদের আমলে পরকীয়ার সন্দেহে রানির মুণ্ডুচ্ছেদসহ বিভিন্ন কাহিনীও প্রচলিত আছে।
তবে এবার বেঙ্গালুরুর এক স্বামী যে কীর্তি করেছেন তা অনেকাংশেই নতুন। স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে কুরিয়ারে করে ‘গোখরা সাপ’ পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছেন স্ত্রীর পুরুষবন্ধুকে। সাপের সঙ্গে পাঠানো রক্ত দিয়ে চিঠিতে লেখা, ‘সময়মতো না শোধরালে অনুশোচনার সাপ দংশনের আগেই মৃত্যু হবে তাঁর।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানিতে (বেসকম) চাকরিরত এক মহিলাকর্মীর স্বামীর কীর্তি এটি। বেশ কয়েকদিন ধরেই স্বামীপ্রবর সন্দেহ করছিলেন বেসকমেরই এক পুরুষকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক আছে স্ত্রীর। আর সেই সন্দেহেই স্ত্রীর কর্মক্ষেত্রের এক পুরুষ সহকর্মীকে কুরিয়ারে পাঠানো পার্সেলের মধ্যে জ্যান্ত গোখরা সাপ পাঠিয়ে হুমকি দিলেন এক ব্যক্তি। গত ১৩ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর ক্রিসেন্ট রোডে অ্যাঞ্জেলিন ডি সিলভার বাড়িতে সাপ ও হুমকি দিয়ে কন্নর ভাষায় লেখা চিঠি পাঠান ওই মহিলার স্বামী শিবপ্রসাদ। এরপর প্রাপক চিঠিটি পেয়েছেন কি না তা ফোন করে নিশ্চিতও করেন তিনি। এ ঘটনায় অ্যাঞ্জেলিন শিবপ্রসাদের নামে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পার্সেলে করে পাঠানো ওই হুমকি চিঠিতে নিজের নামও লিখে দিয়েছেন অভিযুক্ত শিবপ্রসাদ। চিঠিতে নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে ডি সিলভাকে দূরে থাকার হুমকি দেন শিবপ্রসাদ। না হলে ফল ভোগ করতে হবে বলেও চিঠিতে জানান তিনি। তবে যে সাপটি পাঠানো হয়েছিল সেই সাপটি পায়নি পুলিশ। ডি সিলভার দাবি, সাপটিকে তিনি অফিসের কাছে একটি মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, যে কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান ওই চিঠিটি বিলি করেছিল তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিবপ্রসাদের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।