মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জগতে খুবই নিয়মিত। সেইসঙ্গে আলোচিত ও সমালোচিতও বটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর এত বিশালসংখ্যক অনুসরণকারী থাকায় বেশ উচ্ছ্বসিত ট্রাম্প।

গতকাল রোববার ব্রিটেনের আইটিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানালেন, কখনো কখনো বিছানা থেকেও টুইট করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যদি এ ধরনের যোগাযোগমাধ্যমে না থাকি, আমি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারব না। কারণ, অনেক মিথ্যা খবর পাই, অনেক খবর যা মিথ্যা এবং বানানো।‘

তবে মাঝেমধ্যে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে কর্মীদের কাউকে কোনো বিষয়ে পোস্ট দেওয়ার নির্দেশও দেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ কখনো কখনো দ্রুত কোনো নির্দেশনা বা আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি আমার কোনো লোককে বলি পোস্ট করে দিতে।‘

বার্গারের মতো জাঙ্কফুড বা কোকা-কোলা জাতীয় কোমল পানীয় পান করেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ৭১ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি বিশ্বের চমৎকার সব শেফের রান্না করা চমৎকার খাবার খাই। আমি স্বাস্থ্যকর খাবার খাই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বার্গার বা কোকজাতীয় খাবারও খাই। মনে হয় বেশিই খাই।‘

ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাজ্যে তিনি খুবই খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। দেশটিতে তাঁকে প্রবেশ করতে দিতে কিছু রাজনীতিবিদ রাজি ছিলেন না উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প কলেন, তাঁকে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবিতে গণস্বাক্ষরও নেওয়া হয়। তবে এত কিছুর পর এ দেশের অসংখ্য ভক্তের ই-মেইল পেয়েছেন তিনি। যাঁরা তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।

ব্রেক্সিট আলোচনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের ভাবমূর্তি তাঁর চেয়ে ভালো ছিল কি না, এর উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সেভাবে কি আলোচনা হতে পারে? না, আমি সেভাবে আলোচনা করতে চাই না। আমার মনোভাব ভিন্ন।‘

সাক্ষাৎকারে নিজের নারী প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রশংসা করেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, নারীদের তিনি সমর্থন করেন এবং অনেক নারীও এটা বোঝেন। ট্রাম্প বলেন, ‘সামরিক বাহিনীতে আমার চেয়ে ভালো কেউ নেই। নারীরা আসলেই এটা পছন্দ করেন। আমার মনে হয়, তাঁরা বাড়িতে নিরাপদে থাকতে পছন্দ করেন। নারীদের আমি অসম্ভব সম্মান করি।‘

তবে নিজেকে নারীবাদী বলতে নারাজ ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘না, আমি নারীবাদী নই। এর চেয়েও বেশি কিছু। আমি নারীদের জন্য, পুরুষের জন্য, আমি সবার জন্য।‘