চার্লি কার্কের খুনিকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিযান

যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থি রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যার পর দেশজুড়ে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) হত্যাকারীকে ধরার জন্য তৃতীয় দিনের মতো ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। এদিকে, পুলিশ আজ সম্ভাব্য হত্যাকারীর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। খবর এএফপির।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে দেশের যুব সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী ৩১ বছর বয়সী চার্লি কার্ক হত্যাকারীর একমাত্র গুলিতে নিহত হন বলে জানা গেছে। গত বুধবার ইউটাহ ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে এক জনসমাবেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০টি এজেন্সির কয়েকশ কর্মী এই মামলার বিষয়ে কাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্তকারীরা সম্ভাব্য হত্যাকারীর ছবি প্রকাশ করে জনসাধারণের সহায়তা কামনা করেছে।
এ প্রসঙ্গে ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর স্পেনসার কক্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনসাধারণের সহায়তা ছাড়া আমরা আমাদের কাজ করতে পারব না।’
এদিকে, পুলিশ বৃহস্পতিবার যে ছবি প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়–কনভার্স জুতা, বেসবল ক্যাপ, গাঢ় রঙের সানগ্লাস পরা ওই ব্যক্তির গায়ে ছিল লম্বা হাতাওয়ালা জিন্সের পোশাক; যেখানে খচিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার প্রতীকী ছবি।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা মনে করছে প্রায় ২০০ গজ দূরের একটি ভবনের ছাদ থেকে ছোড়া বন্দুকের একটিমাত্র গুলি চার্লি কার্কের ঘাড়ে আঘাত করে এবং এতে তিনি মারা যান।
এ ছাড়া গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রচার করা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ইউটাহ ইউনিভার্সিটির একটি ভবনের ছাদ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে এবং একটুপর লাফ দিয়ে মাটিতে নামছে। এর পরপরই ওই ব্যক্তি ক্যাম্পাসের গাছপালার আড়ালে লুকিয়ে পড়ে। এ ঘটনার পরে ওই এলাকা থেকে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে ইউটার গভর্নর স্পেনসার কক্স বলেছেন, গুলিবর্ষণকারী ব্যক্তিকে ধরতে পারলে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।