জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সৎ, এটাই মাথাব্যথার কারণ

জেরুজালেম ইস্যুতে আসল সত্যি প্রকাশে যুক্তরাষ্ট্র সাহসী ও সৎ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে। আর এটাই অনেকের মাথাব্যথার কারণ বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এসব মন্তব্য করেন মার্কিন দূত।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে সোমবারের বৈঠকে একটি খসড়া প্রস্তাবনা আনে মিসর। সেখানে প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেয় নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য দেশ। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রস্তাবনার বিরোধিতা করে ভেটো দেয়। এতে নাকচ হয়ে যায় প্রস্তাবনাটি।
মিসরের আনা প্রস্তাবনার বিপক্ষে গিয়ে নিকি হ্যালে বলেন, ‘জেরুজালেম হাজার হাজার বছর ধরে ইহুদিদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আত্মিক বাসস্থান। তাঁদের আর কোনো রাজধানী নেই।’
জাতিসংঘের মার্কিন দূত আরো বলেন, ‘কোথায় ও কেন আমরা দূতাবাস স্থাপন করব তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সার্বভৌমত্ব যুক্তরাষ্ট্রের আছে।’
এ বিষয়ে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘এটা আপাতবিরোধী যে, যখন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শান্তি পরিকল্পনা আশা করছিলাম, এমন সময় সময় দেশটির প্রশাসন সেই শান্তিকেই বাধা দিল।’
নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে মিসরের পক্ষ থেকে আনা এক পৃষ্ঠার ওই খসড়ায় বলা হয়, ‘পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের চরিত্র, পরিস্থিতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অবস্থানের পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের বৈধ প্রভাবহীন, অকার্যকর ও অন্তঃসারশূন্য এবং তা বাতিল করতে নিরাপত্তা পরিষদের সংকল্প নিতে হবে।’
মিসরের প্রস্তাবিত খসড়াটির স্বীকৃতির জন্য গত শনিবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের কাছে পাঠানো হয়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় প্রস্তাবনাটি অকার্যকর ঘোষণা করা হলো। পরিষদের অন্য চার সদস্য দেশ হলো ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া ও চীন।
এদিকে, স্থানীয় সময় রোববারও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনিরা। গত শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন এক ফিলিস্তিনি।
গত ৭ ডিসেম্বরও জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজা শহরে বিক্ষোভে নামেন ফিলিস্তিনের নাগরিকরা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পরের দিন ‘বিক্ষোভ দিবসের’ ডাক দেওয়া হয়। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে দুই ফিলিস্তিনি নিহত ও সাত শতাধিক আহত হন।