৩০ শিশুকে যৌন নির্যাতন শেষে হত্যা!

হাড় হিম করা সিরিয়াল কিলারের গল্পকেও হার মানিয়ে দেয় ভারতের রাজধানী দিল্লির বেগমপুরের বাসিন্দা রবীন্দ্র কুমার। পর পর ৩০ জন শিশুকে যৌন নির্যাতন করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে সে।
গত ১৪ এপ্রিল ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগে রবীন্দ্র কুমারকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তারপর তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। টানা জেরায় অবশেষে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় সে।
রবীন্দ্র কুমার জানায়, এই পর্যন্ত সে ৩০ জন শিশুকে যৌন নির্যাতন করার পর হত্যা করেছে সে।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিক্রম সিংহ জানিয়েছেন, রবীন্দ্রকে জেরা করে রীতিমতো হতবাক হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। রবীন্দ্র জানিয়েছে, তার যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া প্রতিটি শিশুর বয়স ছিল ১৪ বছরের কম। আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে- এসব ঘটনার জন্য কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেনি ২৪ বছর বয়সী রবীন্দ্র কুমার।
পুলিশি জেরায় সে জানিয়েছে, প্রথম ১৭ বছর বয়েসে সে দিল্লি মেট্রোর এক নির্মানাধীন ভবনের শ্রমিকের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলে। এরপর সে আরেক কর্মীর ছোট ছেলের সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক করে। এরপর ওই ছেলেটিকেও মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলে। সে সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও নির্দিষ্ট প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যায় রবীন্দ্র কুমার।
এরপর থেকেই সে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন ও পরে তাদের মেরে ফেলার নেশায় মেতে ওঠে।
রবীন্দ্র জানায়, মূলত ভোরবেলা ও সন্ধ্যার দিকে সে এসব ঘটনা ঘটাত। চকলেট কিংবা টাকার লোভ দেখিয়ে সে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে শিশুদের বাড়ি নিয়ে আসত। তারপর তাদের সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে/ধর্ষণ করে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে ফেলত। এমনকি মৃতদেহের সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত সে।
২০০৮ সাল থেকে সে এই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তাই গত পাঁচ বছরে যেসব জায়গায় এই বয়সী শিশু নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আরো জানান, রবীন্দ্র কুমার দিল্লিতে থাকলেও সে মূলত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। সে ৩০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কথা স্বীকার করলেও পুলিশের ধারণা ৪০টির মতো শিশুকে হত্যা করেছে সে।
বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে থাকা রবীন্দ্র কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, অপহরণ, খুন, এবং তথ্য-প্রমাণ লোপাটসহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।