ম্যারাডোনা প্রতারক, বললেন সাবেক স্ত্রী

ডিয়েগো ম্যারাডোনা চেয়েছিলেন টাকা, পেলেন ভর্ৎসনা। বিশ্ব ফুটবলের এই কিংবদন্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ছয় মিলিয়ন ডলার গায়েব হয়ে গেছে। আর এজন্য ম্যারাডোনা দায়ী করেছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া বিয়াফান্নেকে।
ব্যাপারটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার আর্জেন্টাইন এক আদালতে মেয়ে জিয়ান্নিনাকে নিয়ে হাজিরা দিয়েছেন ক্লদিয়া। আর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করায় ম্যারাডোনার প্রতি নিন্দা জানিয়ে ক্লদিয়া বলেছেন, ম্যারাডোনা একজন প্রতারক।
এ সময় ম্যারাডোনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু এক টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন। ওই বার্তায় ম্যারাডোনা বলেন, ‘আমি আমার টাকা চাই। আমার টাকা লুট হয়ে যাওয়ার সময় কারো ভর্ৎসনা করিনি আমি, এখনো করব না। যদি তারা আমার টাকা না ফেরত না দেয় তবে তাদের দুঃখ পেতে হবে।’ এ ব্যাপারে তাঁর দুই কন্যা জিয়ান্নিনা ও দালমাকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ম্যারাডোনা।
দীর্ঘ সময়ের বান্ধবী ক্লদিয়াকে ম্যারাডোনা ১৯৮৪ সালে বিয়ে করেন। ২০০৪ সালে ক্লদিয়ার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ইনফোবে জানিয়েছে, গত বছর করা এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে ক্লদিয়ার নামে তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে, যার প্রতিটির দাম দুই মিলিয়ন ডলার করে। এ ছাড়া ক্লদিয়ার নামে উরুগুয়ের ব্যাংকে তিন মিলিয়ন ডলার আছে। এসব সম্পত্তির কথা ক্লদিয়া আড়ালেই রেখেছিলেন। তবে ক্লদিয়ার আইনজীবী ফার্নান্দো বার্লান্দো এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘যদি কর ফাঁকির কোনো বিষয় থাকে তবে তা করদাতার ওপর বর্তাবে। ওই ব্যক্তি ক্লদিয়া না। বিচার ব্যবস্থাই ম্যারাডোনাকে প্রতিহত করবে।’