যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালাচ্ছে আশ্রয়প্রার্থীরা!

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আশ্রয়প্রার্থীরা পালাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার কানাডার হেমিংফোর্ড সীমান্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এক চিত্রসাংবাদিকের ক্যামেরায় এরকম একটি চিত্র ধরা পড়েছে।
কানাডার হেমিংফোর্ড সীমান্তে একটি তুষারের গালি (খাল বা নালা) যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে বিভক্ত করেছে।
রয়টার্স এ-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চার শিশুসহ নয় শরণার্থী ওই সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় প্রবেশ করছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত চৌকির এক কর্মকর্তা তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, কানাডার রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের এক কর্মকর্তা (আরসিএমপি) শরণার্থীদের এক শিশুকে কোলে তুলে পার হতে সাহায্য করছেন।
রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত চৌকির কর্মকর্তা তাঁদের পাসপোর্ট জব্দ করে ট্যাক্সির সামনের আসনে বসে থাকা এক যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় চারজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও চার শিশু পালিয়ে দৌড়ে সীমান্তের ওপারে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের কাছে যান। তাঁরা ওই তুষারখাত দিয়ে একের পর এক সীমান্ত পার হন। এ সময় আরসিএমপির এক কর্মকর্তাকে ওই ব্যক্তিদের সহায়তা করতে দেখা যায়। ওই কর্মকর্তা একটি শিশুকে কোলে নিয়ে এক নারীকে জিজ্ঞেস করছেন, তাঁদের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কি না। শিশুটি পেছনের দিকে তাকিয়ে আছে।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা প্রথম ব্যক্তিটিকে আটকে বলছেন, তাঁর পাসপোর্ট যাচাই করার প্রয়োজন আছে। ওই ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে থাকা লাগেজ এক জায়গায় জড়ো করছেন।
সাংবাদিককে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘কেউ আমাদের চিন্তা করে না।’ তিনি জানান, তাঁরা সবাই সুদান থেকে এসেছেন এবং তাঁরা দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের ডিলাওয়ায় কাজ করেছেন।
আরসিএমপি ওই ব্যক্তিদের জাতিগত পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেছে। কিন্তু তাঁদের কাছে থাকা অন্তত একটি পাসপোর্ট সুদানের ছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এ ছাড়া দৌড়ে সীমান্ত পার হওয়ার আগে এক ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তার কাছ থেকে খপ করে পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিতে দেখা গেছে।
যদিও শরণার্থী ও অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাঁদের আটকাতে না পারায় কানাডার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন না বলে রয়টার্স জানিয়েছে। আর সীমান্ত পারাপার নিয়ে কানাডার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারলে ওই শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে হতো।