অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেবেন ট্রাম্প?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে ২০১৩ সালের ইমিগ্রেশন বিল আবার যাচাই করবেন তিনি।
বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেট সদস্য জো ম্যানচিন খবরটি জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে দেশটির আইনপ্রণেতাদের এমন আভাস দেন ট্রাম্প।
২০১৩ সালে প্রণীত ‘গ্যাং অব এইট ইমিগ্রেশন বিল’ নামে অভিবাসী-সংক্রান্ত আইনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রাম্প।
গ্যাং অব ইমিগ্রেশন নামে ওই বিলে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বৈধ অভিবাসীদের দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার পরই অবৈধ অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপের কথা বলা হয়েছে সেখানে।
এর পরপরই হোয়াইট হাউস মুখপাত্র শন স্পাইসার জানান, ট্রাম্প ওই বিলের সমর্থন করেননি, বরং ভবিষ্যতে একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে সিনেটদের উৎসাহ জানিয়েছেন।
তবে ট্রাম্প ‘গ্যাং অব এইট’ বিলটির প্রতি সমর্থন না জানালে বিষয়টি হতে পারে আত্মঘাতী। কারণ, এর আগেই অভিবাসীদের নিষেধাজ্ঞা করে একটি নির্বাহী আদেশ দেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ওই বিলটি ট্রাম্প আদৌ বোঝেন কি না বা এর ফল সম্পর্কে সচেতন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এর আগে সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমর্থন জানায় দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। দেশটির আদালতের জারি করা স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয় জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে।
ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, সাতটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রেসিডেন্টের এখতিয়ারভুক্ত। এটি মুসলিমদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়।
ওয়াশিংটনের সিয়াটল শহর আদালতের বিচারক জেমস রবার্ট সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশ স্থগিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বৈধ ভিসাধারী অভিবাসী ও শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাময়িক স্থগিত করেন দেশটির আরেকটি আদালত।
ক্ষমতায় বসার পরপরই সাতটি মুসলিম দেশ ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সাতটি দেশ হলো সিরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামী জঙ্গিদের দূরে রাখার জন্য এটি একটি পদক্ষেপ। আমরা তাদের এখানে চাই না।’
‘যারা আমাদের সেনাদের জন্য হুমকি, তাদের আমরা নিতে পারি না। আমরা তাদেরই নেব, যারা আমাদের দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসে।’
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে ডেমোক্র্যাট দলের হিলারি ক্লিনটনকে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে হারিয়ে দেন তিনি।