লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে তুরস্ককে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

তুর্কি পার্লামেন্ট লিবিয়ায় সৈন্য মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকার টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তুরস্ক। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় যেকোনো ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি ও বাসস এ খবর জানিয়েছে।
ন্যাটো সমর্থিত আন্দোলনে ২০১১ সালে স্বৈরশাসক মুয়াম্মের গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর থেকেই লিবিয়ায় একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসন ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে।
ফয়েজ আল-সরাজের নেতৃত্বে ত্রিপোলি সরকার গত বছরের এপ্রিল থেকে সামরিকভাবে শক্তিশালী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতার বাহিনীর ব্যাপক হামলার শিকার হয়ে আসছে। তুরস্কের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাঁকে সমর্থন দিচ্ছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলে এক বিবৃতিতে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের ভোটের পর আঙ্কারার হস্তক্ষেপের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টেলিফোন করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে বলেন, বিদেশি হস্তক্ষেপ লিবিয়ায় পরিস্থিতি জটিল করছে।
তুরস্কের এমন পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা জানিয়ে মিসরের পক্ষ থেকেও বলা হয়, লিবিয়ার ব্যাপারে তুরস্কের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সরাসরি লঙ্ঘন।
এদিকে তুরস্কের এমন পদক্ষেপকে ইসরায়েল, সাইপ্রাস ও গ্রিস আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি চরম হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে এর কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।