যুদ্ধের মধ্যে খুলল ইউক্রেনের স্কুল, শেখানো হচ্ছে আত্মরক্ষার কৌশল

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবারের মতো কিছু প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। সেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কীভাবে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে কিন্ডারগার্টেন নেটওয়ার্ক পরিচালনাকারী সোলোমিয়া বইকোভিচ বলেছেন, ‘বিমান হামলা হলে সাইরেন বেজে উঠলে কীভাবে আত্মরক্ষামূলক কৌশল অবলম্বন করতে হবে, এ ব্যাপারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে শিশু শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে, কখন কী করতে হবে এবং কোন কোন বিধি অনুসরণ করতে হবে।’
বইকোভিচ আরও বলেন, ‘আমাদের বাস্তব জীবনে এটিকে চর্চার মধ্যে নিয়ে আসতে হয়েছে। শিশুরা যখন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছিল, তখন আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম। তাদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক দেখতে পাইনি।’
শিশুরা খেলাচ্ছলে এসব প্রশিক্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন সোলোমিয়া বইকোভিচ।
এদিকে, ইউক্রেনের একটি প্রতিনিধিদল রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ আলোচনার আয়োজন করছেন।
তুরস্কের স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ ও প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধান মিখাইল পোডোলিয়াক।
প্রতিনিধিদলটি বলছে, তাঁদের আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা। যদিও এটি সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার দাবি, ন্যাটোতে যোগদানের যে ইচ্ছা ইউক্রেনের মধ্যে রয়েছে, তা ত্যাগ করতে হবে। যদিও এর মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে তিনি আপস করতে ইচ্ছুক।
এ ছাড়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল এবং ক্রিমিয়া পরিস্থিতি আলোচনার অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।