ইউরোপভিত্তিক সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক। প্রাথমিক পর্যায়ে নর্ডিক এ দুটি দেশের বিষয়ে ভেটো দিয়েছিল তুরস্ক। অবশেষে তুরস্ক ভেটো তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার স্পেনের মাদ্রিদে ন্যাটোর তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনেই তুরস্ক ভেটো তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ায় ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সামনে জোটের সদস্য হওয়ার পথে কোনো বাধা রইল না।

পৃথিবীর বৃহত্তম সামরিক জোটটির নিয়ম অনুযায়ী—৩০ দেশের কোনো একটিও যদি বিরোধিতা করে, তাহলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নেই।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে তুরস্ক সরকারের অভিযোগ—তুরস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র কুর্দিদের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে দেশ দুটি। এ কারণে দুই দেশের ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

তুরস্কের কুর্দি মিলিশিয়া উদ্‌বেগ প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার মাদ্রিদে একটি চুক্তিতে সাক্ষর করেছেন ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, সশস্ত্র কুর্দি নেতাদের প্রত্যাবাসনে তুরস্কের অনুরোধের বিষয়ে সুইডেন শিগগিরই সক্রিয় ভূমিকা নেবে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন তুরস্কে অস্ত্র বিক্রি নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেবে।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নিনিস্তো বলেছেন, ‘তিন দেশ একে অপরের নিরাপত্তা হুমকির জায়গাগুলোতে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।’

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন একে ‘ন্যাটোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের কার্যালয় বলেছে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের কাছ থেকে যা আশা করা হয়েছিল, তা পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, মূলত ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতেই ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও রাশিয়া এ বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছে না।