চীনে আবারও করোনার প্রকোপ বাড়ছে

চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। দিনে শতাধিক সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় দেশটির আনহুই প্রদেশের দুটি কাউন্টিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—দেশটিতে গত দুই সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় ৫০ এর নিচে থাকার পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সংক্রমণ বেড়েছে। গত শনিবার ৩৮৫ ও রোববার ৩৮০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। বর্তমান প্রাদুর্ভাব কেন্দ্র আনহুই-তে রোববার পরীক্ষায় ২৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখে গত শুক্রবার বিকেল থেকে উত্তর-পূর্ব আনহুইয়ের লিংবি কাউন্টিতে লকডাউন আরোপ করেছে প্রশাসন। প্রতিবেশী সি কাউন্তটিতে ষষ্ঠ বারের মতো চলছে করোনার গণপরীক্ষা।
এর আগে দেশটির বাণিজ্যিক হাব খ্যাত সাংহাই এবং রাজধানী বেইজিংয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রায় দুই মাস ধরে কঠোর জিরো-কোভিড নীতি আরোপ করেছিল চীন।
এতে জনভোগান্তি হলেও সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু, দেশটির সেই অর্জন প্রশ্নের মুখে পড়েছে যখন সাংহাইয়ের পাশের জিয়াংসু প্রদেশে রোববার ৫৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে।

নিক্কেই এশিয়া জানিয়েছে, অর্থিক সংকটে পড়া চীনের স্থানীয় কিছু প্রশাসন এখন বাধ্য হয়ে জনগণের কাছ থেকে কোভিড টেস্টের জন্য ফি রাখছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যম উইবো-তে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন—যাদের মধ্যে কোনো ধরনের লক্ষণ নেই, গণহারে তাদেরও কেন পরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হচ্ছে?
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে চীনের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যয় ছিল ৭৩০.৩ বিলিয়ন ইউয়ান (১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যা আগের বছরের তুলনায় ৭.৫ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের চেয়েও ২২ শতাংশ বেশি। অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পরিচালনায় এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
এরই মধ্যে চীনের অর্থনীতিতে জিরো কোভিড নীতির বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ বছরের প্রথম চার মাসে দেশটির রাজস্ব ৪.৮ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।