‘চীনা আগ্রাসন’ ঠেকাতে সামরিক বাজেট বাড়াল জাপান-অস্ট্রেলিয়া

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক আগ্রাসন ঠেকাতে নিজেদের সামরিক খাতে ব্যয় ও বাজেট বাড়িয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর। দেশগুলো অতীতে বেইজিংয়ের কাছ থেকে হুমকি ও নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা থেকে তাদের সামরিক বাজেট এবং ব্যয় বৃদ্ধি করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্য দ্য প্রিন্ট।
সম্প্রতি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের পর চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর পোস্ট। আর, চীনবিরোধী মনোভাব এবং দেশটিকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি ভাবে জাপান। চীন সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জকে (চীনা ভাষায় দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ) নিজেদের দাবি করার পর থেকে দেশ দুটির মধ্যে তীব্র বৈরিতা দেখা দেয়।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গ্লোবাল স্ট্র্যাট ভিউ বলেছে—জনবসতিহীন সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জকে নিজেদের বলে দাবি করছে চীন, তাইওয়ান ও জাপান। তবে, চীনে নৌবাহিনী দ্বীপুঞ্জের আশপাশে টহল অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশটির বিরুদ্ধে তাইওয়ান প্রণালীতেও একই ধরনের টহল দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় গত বছর জাপানের ২৪ নটিক্যাল মাইলের সংলগ্ন অঞ্চলের বাইরে প্রায় ৭০টি চীনা জাহাজকে টহল দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
চাইনিজ কাউন্সিল অব অ্যাডভান্সড পলিসি স্টাডিজ থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মহাসচিব অ্যান্ড্রু ইয়াং বলেন, দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে জাপানের সঙ্গে বিরোধে গিয়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এবং সেইসঙ্গে অন্য দেশগুলোকে সতর্ক করতে চায় বেইজিং।

চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছিলেন, দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ চীনের অন্তর্গত এবং তাঁরা আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। এমন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি দেশ চীনের এ ধরনের আগ্রাসনকে মোকাবিলা করতে সামরিক বাজেট এবং ব্যয় বৃদ্ধি করছে।