ট্যাব না কেনার পাঁচ কারণ

স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ সবকিছু থাকার পরও কি নেই যেন মনে হচ্ছে। একটা ট্যাব কেনা দরকার অনেক দিন ধরে ভাবছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে কেনা হচ্ছে না। আপনার যদি কাজ চালানোর মতো ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ এবং একটা স্মার্টফোন থাকে তাহলে ঝোঁকের বশে আরেকটা বাড়তি ট্যাব না কিনলেও হবে। যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাইলে নিচের যুক্তিগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। যুক্তিগুলো নেওয়া হয়েছে এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণ থেকে।
১. বহন করা অসুবিধা
স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ খুব সহজেই বহনযোগ্য। স্মার্টফোনের জন্য প্যান্টের পকেট আর ল্যাপটপের জন্য ব্যাগ। স্মার্টফোনে সবকিছু হাতের নাগালেই পাবেন, বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সুবিধা আর ল্যাপটপ থাকলে টাইপিং থেকে শুরু করে মুভি দেখা সব কাজের সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ট্যাবের আকার এমন- এটা না হাতে রাখা যায় আবার এই ছোটখাটো এক জিনিসের জন্য আলাদা ব্যাগ বহন করাও ঝামেলা। এতে আপনার বিশেষ কোনো উপকার হচ্ছে না।
২. স্মার্টফোনের চেয়ে বাড়তি কোনো সুবিধা নেই
আপনার স্মার্টফোন যা করতে পারে ট্যাবলেটটিও সেই কাজই করতে পারে। শুধু বড় ডিসপ্লে ছাড়া ট্যাবের আর কোনো বাড়তি সুবিধা নেই। এমন কোনো কাজ নেই যেটা শুধু ট্যাবলেটেই করা যাবে। অর্থাৎ ট্যাবে যেসব কাজ করা হয় তার সবই অন্য যেকোন ডিভাইসেও বিশেষ করে স্মার্টফোনের মাধ্যমেই সহজে সেরে নেওয়া যায়। বড় স্ক্রিনের কারণে সিনেমা দেখতে বা বই পড়ার কাজে ডিভাইসটি আরামদায়ক সেটা ঠিক তবে শুধু এই দুই কাজের জন্য গাটের টাকা খরচ করে ট্যাব কিনবেন?
৩. ট্যাবের জন্য অ্যাপ্লিকেশন কম
ট্যাব না কেনার এটাও অন্যতম কারণ। ট্যাবলেটের জন্য বিশেষভাবে তৈরি অ্যাপ্লিকেশন সংখ্যায় বেশ কম। আইওএস বা অ্যানড্রয়েডের সব অ্যাপ্লিকেশনই তৈরি করা হয় স্মার্টফোনের জন্য।
৪. সীমিত স্টোরেজ
ট্যাবে সবসময়ই স্টোরেজ থাকে সীমিত। আলাদা করে মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধাও নেই। ৮ থেকে ১৬ জিবির মেমোরিতেই সীমাবদ্ধ বেশিরভাগ ট্যাবলেট। কখনোই ল্যাপটপের মতো ২৫০ বা ৫০০ জিবি স্টোরেজের ট্যাবলেট আপনি পাবেন না বাজারে।
৫. কানেক্টিভিটি পোর্টের অভাব
ল্যাপটপের বদলে ট্যাব কেনা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে ট্যাবলেটকে পাতলা এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের করে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে এর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট ফেলে দেয়া হয়েছে। বাজারে যেসব ট্যাবলেট রয়েছে তার মধ্যে বেশির ভাগ ট্যাবলেটেই একটা মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট থাকে, সাথে ৩.৫ এমএম এর অডিও জ্যাক। স্মার্টফোনেও তাই থাকে। কিন্তু ল্যাপটপে যেমন ফুল সাইজড ইউএসবি বা ভিজিএ/এইচডিএমআই পোর্টগুলো রয়েছে সেগুলো নেই। এর ফলে টিভি বা প্রিন্টারের সাথে ট্যাবলেটের সংযোগ দেওয়া যাবে না। ফলে অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হবেন আপনি।