এশিয়া কাপ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে সুপার ফোরের অপেক্ষা বাড়াল বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার পেস আক্রমণের সামনে অসহায়ত্বই ফুটে উঠল বাংলাদেশের ব্যাটারদের। স্পিন খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ, সেখানেও পরাস্ত হলো। ব্যাটিং ব্যর্থতায় লজ্জার রের্কডের শঙ্কায়। জাকের আলী-শামীম হোসেন সেটা থেকে রক্ষা করলেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকার মতো বলও করতে পারেননি বোলাররা। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হার দেখল বাংলাদেশ।
আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আবু ধাবিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৫.২ ওভার হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। জয় পায় ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
অল্পরানের পুঁজি নিয়েও শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৬ বলে ৩ রান করা লঙ্কান ওপেনার কুশাল মেন্ডিসকে ফেরান তিনি। অতটুকুই যা! এরপর লঙ্কান ব্যাটারদের বাংলাদেশ শুধু শাসিত হয়েছে। লড়াইয়ের কোনো বার্তাই দিতে পারেনি লিটন দাসের দল৷
মাঝের সময়ে গিয়ে দ্রুতই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচের আর কিছুই বাকি ছিল না। শেখ মাহেদিদের ওই লড়াই কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। লঙ্কানদের হয়ে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ৩২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন কামিল মিশারা।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন মাহেদি। আর একটি করে উইকেট যায় মুস্তাফিজ ও তানজিম সাকিবের ঝুলিতে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই যেন চোখে সরষেফুল দেখে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। রানের খাতা খোলার আগেই দুই ইউকেট হারায় বাংলাদেশ। আশা দেখানো দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আর পারভেজ হোসেন ইমন ফেরেন পরপর দুই ওভারে। বাংলাদেশ প্রথম রানের দেখা পায় ১৪ নম্বর বলে এসে। থুসারার বলে সিঙ্গল নেন লিটন দাস।
দলের বিপর্যয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরিবর্তে আত্মহুতি দেন তাওহিদ হৃদয়। ৯ বলে ৮ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। শেখ মেহেদিও ফিরেছেন দ্রুতই। বাকিদের যাওয়া-আসার ভীরে একপ্রান্ত আগলে রাখা লিটনও ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেট রক্ষককে। ফেরেন ২৬ বলে ২৮ রান করে।
৫৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ১০০ রানের আগেই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কাই। তখন ত্রাতা হয়ে এসে জাকের আলি অনিক আর শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৬১ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত জুটি। এই জুটিতে ভর করেই লড়াই করার পুঁজিটা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৩৪ বলে ৪১ রানে অপরাজিত তাকেন জাকের আর ৩৪ বলে ৪২ বলে অপরাজিত থাকেন শামীম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (তামিম ০, ইমন ০, লিটন ২৮, হৃদয় ৮, মেহেদি ৯, জাকের ৪১*, শামীম ৪২*; থুসারা ৪-১-১৭-১, চামিরা ৪-১-১৭-১, শানাকা ৩-০-২৭-০, পাথিরানা ৪-০-৪২-০, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৫-২, আসালাঙ্কা ১-০-৬-০)।
শ্রীলঙ্কা : ১৪.৪ ওভারে ১৪০/৪ (নিশাঙ্কা ৫০, কুশাল মেন্ডিস ৩, কুশাল পেরেরা ৯, শানাকা ১, কামিল ৪২*, আসালাঙ্কা ১০*; শরিফুল ৩-০-২৬-০, মুস্তাফিজ ৩-০-৩৫-১, সাকিব ৩-০-২৩-১, মেহেদি ৪-০-২৯-২, রিশাদ ১-০-১৮-০, শামীম ০.৪-০-৪-০)।
ফলাফল : শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী।