এশিয়ান কাপ বাছাই
ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে শনিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ

এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের বিপক্ষে হার দিয়ে মিশন শুরু করেছে কিউবা মিচেল-শ্রাবণরা। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আগামীকাল শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েমেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।
ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ডিফেন্স লাইন বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে করে ডানপাশের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে আক্রমণ করেছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশ পরাস্তও হয়েছে সেখান দিয়েই। প্রথমার্ধের শুরুতে আর দ্বিতীয়ার্ধের শেষে মোট দুটি গোল হজম করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ইয়েমেনের বিপক্ষে এই জায়গায় বিশেষ নজর দিতে হবে কোচ সাইফুল বারী টিটুকে। নতুন কৌশল আবিষ্কার করতে হবে তাকে।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে হলে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। ইয়েমেনকে হারাতে পারলেই সম্ভাবনা বেঁচে থাকবে চার সেরা রানার্সআপের একটি হয়ে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার।
তবে সেটা মোটেও সহজ হবে না লাল-সবুজ জার্সিধারীদের জন্য। ইয়েমেনের বিপক্ষেও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। শক্তি-ভারে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে ইয়েমেন। ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই দলের পার্থক্য ২৮, বাংলাদেশ আছে ১৮৪ নম্বরে আর ইয়েমেনের অবস্থান ১৫৬তম।
মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও এগিয়ে ইয়েমেন। এর আগে যদিও কখনো অনূর্ধ্ব-২৩ দল মুখোমুখি হয়নি। তবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল হেরেছিল ৩-০ গোলে। আর ২০২২ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মঞ্চেই ৪-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। ইয়েমেনের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয় ১৯৯৪ সালে। সেবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশের সিনিয়র দল। বাংলাদেশ সেই ম্যাচে জিতেছিল ১-০ গোলে।
র্যাংকিং, পরিসংখ্যানের বাইরেও প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ১-০ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইয়েমেন। তবে বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড রাব্বি হোসেন রাহুল বললেন ঘুরে দাঁড়ানোর কথা। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা পুরো দল অনুশীলন করেছি। আমার যেভাবে চেয়েছিলাম, হয়তো টুর্নামেন্টটা সেভাবে শুরু করতে পারিনি। আগামীকাল ইয়েমেনের সঙ্গে ম্যাচ আছে আমাদের। আশা করি সবাইকে ভালো ফুটবল উপহার দিতে পারব, জয় উপহার দিতে পারব।’