টেস্ট ক্রিকেটের জৌলুস ধরে রাখতে গ্রিনবার্গের পরামর্শ

অনেকদিন ধরেই আলোচনায় টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। জোর আলোচনা উঠেছে টেস্টের দ্বি-স্তর নিয়ে। গণমাধ্যমের খবর, টেস্টে দ্বি-স্তর চালু করতে ইতোমধ্যে একটি কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেটি নিয়ে এবার কথা বললেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) প্রধান টড গ্রিনবার্গ।
আগামী নভেম্বরে মাঠে গড়াবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী সিরিজ অ্যাশেজ। সেই সিরিজ মাঠে গড়াতে আর ১০০ দিন বাকি আছে। তার আগে আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন টড গ্রিনবার্গ। সেখানে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন তিনি।
গ্রিনবার্গ মনে করছেন, টেস্ট ক্রিকেটের সূচি কমানো হলে ছোট দেশগুলো উপকৃত হবে। তার মতে, পাঁচ দিনের ক্রিকেট সবচেয়ে বেশি জমে তখনই, যখন এর আসল গুরুত্ব থাকে।
গ্রিনবার্গ বলেন, ‘আমরা আসলে দেশগুলোকে দেউলিয়া করে দিবো, যদি তাদের জোর করে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে বাধ্য করি। আমাদের সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের অর্থ আছে। এ কারণেই অ্যাশেজ এত বিশাল এবং লাভজনক—কারণ এর গুরুত্ব আছে।’
গত মাসে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড-ভারত। ২-২ ব্যবধানে ড্র হয় রোমাঞ্চ ছড়ানো এই সিরিজ। ঘরের মাঠে বেন স্টোকসদের সবগুলো ম্যাচেই গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। একই সময়ে নিউজিল্যান্ড টেস্ট খেলেছে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে রোডেশিয়ানদের ঘরের মাঠে। আর অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। দুই দলই জয় পেয়েছে একতরফা। যা দেশগুলোর টেস্ট ক্রিকেটের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে টেস্ট ক্রিকেটে দ্বি-স্তর চালুর প্রস্তাবও এসেছে। তবে গ্রিনবার্গ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঠিক সংখ্যা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো মত দেননি।
অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা নিয়ে আশাবাদী গ্রিনবার্গ। আসন্ন অ্যাশেজ হবে এই বছরে অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর বলে মনে করেন তিনি। গ্রিনবার্গ বলেন, ‘এটি হবে এই বছরের অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর। আগ্রহ সত্যিই অসাধারণ, ২০ দিনের মধ্যে ১১ দিনের টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি শেষ।’