ফিটনেস টেস্টে ‘টাইম ট্রায়াল’ নিয়ে যা বললেন কেলি

ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ফিটনেস ঠিক রাখার কোন বিকল্প নেই। খেলোয়াড়দের মাঝেমধ্যেই ফিটনেস টেস্ট দিয়ে পার হতে হয়, যদি না পারেন তাহলে অনেকসময় বিপদ হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের এই পরীক্ষাটা আগে নেওয়া হতো ইয়ো ইয়ো কিংবা বিপ টেস্টের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমান টেস্ট নেওয়া হয় টাইম ট্রায়াল ধরে। বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ দলের ফিটনেস কোচ ন্যাথান কেলি সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কিছুটা বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছে। আসন্ন এশিয়া কাপকে ঘিরে এখন তাদের আবার ঘাম ঝড়াতে হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে চলেছে ফিটনেস ক্যাম্প, এরপর দিতে হয়েছে টেস্ট।
এখনকার টেস্টের ধরণটা আলাদা। আগের ইয়ো ইয়ো বা বিপ টেস্টের বদলে কেলি বেছে নিয়েছেন টাইম ট্রায়ালকে। যেখানে অ্যাথলেটিক টার্ফে একটানা ১৬০০ মিটার দৌড়াতে হয়। এরপর তিনটি মানদণ্ডে ফেলা হয়— ‘এলিট’, ‘কম্পিটেন্ট’ বা ‘সন্তোষজনক’ ও ‘লিমিটেড’। এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডের ক্রিকেটারদের গত পরশু এই পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরীক্ষায় ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেদিন একমাত্র এলিট ছিলেন পেসার নাহিদ রানা। অন্যদের বেশির ভাগ ছিলেন সন্তোজনক পর্যায়ে।
কেলি আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই তর্ক হয়, কোনটি সেরা পরীক্ষা। আমি টাইম ট্রায়াল ব্যবহার করি, কারণ এই পরীক্ষা নেওয়া সহজ। অ্যাথলেটিক টার্ফে দৌড়ানোর জন্য কোনো যন্ত্রপাতি লাগে না। ঘাসে ভরা সবুজ ক্রিকেট মাঠেও এটা করতে পারবেন।’
এর বাইরে আরও একটি কারণ দেখিয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা নেওয়াটা বেশি সুবিধার। সামনে ঘরোয়া ক্রিকেটারদেরও এই ট্রায়াল দিতে হবে।
‘টাইম ট্রায়াল’ বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে কেলি বলেন, ‘এটার ফলাফল নিয়ে বিতর্ক কম। ইয়ো-ইয়ো বা বিপ টেস্টে কখনো কখনো খেলোয়াড়েরা খুব অল্পের জন্য পিছিয়ে যায়, কিন্তু টেস্ট শেষ না করা পর্যন্ত তাদের থামিয়ে দেওয়াটা কঠিন। টাইম ট্রায়ালে ভালো জিনিস হচ্ছে, ঘড়ি মিথ্যা কখনও মিথ্যা বলে না। আমার অভিজ্ঞতা বলে যারা ইয়ো ইয়ো বা বিপ টেস্টে পাস করে, তারা টাইম ট্রায়ালেও জেতে। যারা ওই পরীক্ষাগুলোতে ভালো না, তারা টাইম ট্রায়ালেও ভালো না।’
তবে এই ফিটনেস পরীক্ষাটা নেওয়া হয় মূলত একজন খেলোয়াড়ের শক্তি ও দুর্বলতা বোঝার জন্য। এটা চূড়ান্ত কিছু নয়, তদের লক্ষ্য বুঝতে পারা যে একজন ক্রিকেটারকে পরের সময়টাতে কী নিয়ে কাজ করতে হবে।
কেলি বলেন, ‘উদাহারণ হিসেবে ধরুন, অনেক খেলোয়াড় হয়তো টাইম ট্রায়ালে ভালো করেনি। কিন্তু তারা হয়তো স্ট্রেন্থ ওয়ার্কের ক্ষেত্রে জিমে সেরা। আমরা এটাতেই নজর দিচ্ছি। পুরো ব্যাপারটি হলো তারা কোথায় ভালো করছে এবং কোথায় কাজ চলছে সেগুলো বোঝা।’
তবে ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে কেলি বলেন, ‘ক্রিকেটাররাও জানে কোথায় তাদের কাজ করতে হবে এবং সব জায়গায় উন্নতি করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা ও মানসিকতা দারুণ।”
আর একদিন ফিটনেস ট্রেনিং চলার পর মিরপুরে কয়েকদিন স্কিল ট্রেনিং চলবে। এরপর বাংলাদেশ দল যাবে সিলেটে। সেখানে ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।