বাটলার ডিকশনারিতে রক্ষণাত্মক ফুটবল নেই

সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়েও র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা স্বাগতিক লাওসকে হারিয়েছিল ৩-১ গোলে। পরের ম্যাচের পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে করেছিল গোল উৎসব। তবে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার দেখেছিল বাংলাদেশ। যদিও এরপরও সেরা তিন রানার্সআপ দল হয়ে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ কোরিয়া বিপক্ষে আগের ম্যাচে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে তাদের প্রায় আটকে দিয়েছিল লাওস। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জিতেছিল কোরিয়া। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া। আক্রমণাত্মক ফুটবলে সেই দলের বিপক্ষেও প্রথমে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ।
এরপর অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার হয়তো মানব দেওয়াল তৈরি করে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলবে বাংলাদেশ। তবে, বাটলার ছিলেন ভিন্ন। শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষেও রক্ষণাত্মক না হয়ে বাটলার দলকে খেলিয়েছেন আক্রমণাত্মক।
ম্যাচ শেষে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন বাটলারের এই পরিকল্পনা নিয়ে। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ফেসবুকে পেজে শেয়ার করা এক ভিডিওতে সেই ম্যাচের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাটলার।
লাওসে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যে কারণে কয়েকজন অসুস্থ হয়েছিলেন। চোটও ছিল দলের মধ্যে। সেই দলকে নিয়েই শেষ ম্যাচে খেলতে হয়েছে বাটলারকে।
বাটলার বলেন, ‘কারো জ্বর হয়েছিল, চোট ছিল এবং আমাদের সমস্যা হয়েছিল, কিন্তু তারা যেভাবে খেলে সেটার প্রশংসা আমি করি। আমার মনে হয়, আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম, তা করেছি। কেকের উপরের পনিরটুকু খেতে পারিনি, তবে গতকাল বিশ্বের অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলের সেরা দলগুলোর মধ্যে একটির বিরুদ্ধে খেলেছি।’
রক্ষণাত্মক খেলা নিয়ে বাটলার বলেন, ‘(এগিয়ে যাওয়ার পর) আমরা রক্ষণাত্মক হতে পারতাম, নিচে নেমে খেলতে পারতাম, জীবন দিয়ে গোলটি আগলে রাখার চেষ্টা করতে পারতাম, কিন্তু আমি এর সাথে একমত নই। আমি এভাবে কাজ করি না। তবে হ্যাঁ, সামগ্রিকভাবে মেয়েদের জন্য আনন্দিত এবং সত্যিই গর্বিত।’