ঘরের মাঠে নিষিদ্ধ হচ্ছেন কোহলিরা

এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা খরা কাটেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। আইপিএলের সর্বশেষ আসরে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিরাট কোহলির দল। কিন্তু আনন্দের সেই উপলক্ষ উদযাপন করতে পারছে না বেঙ্গালুরু। একের পর এক দুঃসংবাদ পিছু লেগে আছে কোহলিদের।
গত ৪ জুন প্রথম শিরোপা উদযাপনের সময়ই ঘটে বিপত্তি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে মারা যান ১১ জন। আহত হন আরও ৭০ জন। সেই ঘটনার জন্য ফ্যাঞ্চাইজিটিকেই দায়ী করেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্য সরকার। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপণন প্রধান নিখিল সোসালেকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই) মালিকপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও দুঃসংবাদ শুনতে হলো বেঙ্গালুরুকে। আইপিএলের আগামী আসরে বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলতে পারবেন না কোহলিরা। অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে কর্ণাটক সরকারের উপর।
মূলত শিরোপা উদযাপনের ওই ঘটনার পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল কর্ণাটক সরকার। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে বড় ইভেন্ট আয়োজনের জন্য অনুপযুক্ত ঘোষণা করেছে বিচারপতি জন মাইকেল কুনিয়ার নেতৃত্বাধীন সেই তদন্ত কমিশন। সেই সঙ্গে স্টেডিয়ামটিতে আয়োজন বন্ধের সুপারিশ করেছে কমিটি।
এখন কর্ণাটক সরকার যদি কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে ২০২৬ আইপিএলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলতে পারবেন না কোহলিরা।
কর্ণাটক থেকে প্রকাশিত দৈনিক ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩২ হাজার হলেও কোহলির আমন্ত্রণে শিরোপা উৎসবে যোগ দিতে স্টেডিয়াম এলাকায় হাজির হন প্রায় ৩ লাখ মানুষ, যা প্রত্যাশার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ছিল। এরপর তদন্ত কমিশন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের নকশা ও কাঠামো গণজমায়েতের জন্য অনুপযুক্ত ও অনিরাপদ।
তবে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করতে হলে কয়েকটি নিয়ম বেধে দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে- স্টেডিয়াম এলাকায় দর্শকদের চলাচলের জন্য মূল সড়ক থেকে আলাদা পথ নির্মাণ করতে হবে যেন সবাই সারিবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলভাবে আসা–যাওয়া করতে পারেন। স্টেডিয়ামে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত গেট থাকতে হবে। সমন্বিত গণপরিবহন প্রবেশাধিকার পয়েন্ট ও পর্যটন কেন্দ্র থাকতে হবে। উপচে পড়া দর্শকদের সামাল দিতে পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা ও গাড়ি সহজেই বের হওয়ার মতো অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সেসময় শিরোপা উদযাপনের জন্য স্থানীয় পুলিশ অনুমতি না দিলেও বেঙ্গালুরু শহরের বিধান সৌধ থেকে ‘ভিক্টরি প্যারেড’ করতে করতেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছান কোহলিরা। বেঙ্গালুরুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেজগুলোতে কোহলিকে দিয়ে প্রচার চালানো হয়। ভিডিও পোস্টে কোহলি ভক্ত–সমর্থকদের শিরোপা উৎসবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।