সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ
এগিয়ে থেকে বিরতিতে বাংলাদেশ

পরিবর্তিত ভেন্যুতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডও বাংলাদেশের চেনা। এই মাঠে আগের ম্যাচে ভুটানকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভুটানের বিপক্ষে ফের নেমেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল। প্রথমার্ধ শেষে পিটার বাটলারের শিষ্যরা এগিয়ে ১-০ গোলে।
বাটলার এদিন তার বেঞ্চকে বাজিয়ে দেখতে চেয়েছেন। তারা একেবারে খারাপ করেননি। যদিও, ৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে ভুটানের সামনে। ডান দিক থেকে পাওয়া ক্রস থেকে বিপদ তৈরি হলেও বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিলি আক্তার রক্ষা করেন।
১৪ মিনিটে বাংলাদেশ প্রথমবার দারুণভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করে। ভুটান গোলরক্ষক পিমা ইয়াংজম বল রিসিভ করতে গিয়ে ছেড়ে দেন। ডি বক্সে বল পান তৃষ্ণা রাণী। অনেকটা ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও গোল দিতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড।
২২ মিনিটে তৃষ্ণা আবারও ভুটান রক্ষণে ভয় ধরান। মাঝমাঠ থেকে পাওয়া বল বুক দিয়ে রিসিভ করে ছুটে যান। কর্ণারের বিনিময়ে জাল অক্ষত রাখে ভুটান।
৩০ মিনিটে পরিবর্তন আনেন বাটলার। বন্যা খাতুনকে তুলে মাঠে নামান স্বপ্না রাণীকে। তাতে বদলে যায় ম্যাচের চিত্রই। ৩৩ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন স্বপ্না। ভুটানের চার ফুটবলারকে টপকে বল যায় তৃষ্ণার পায়ে। ক্ষিপ্রতায় পেছনে ফেলেন সবাইকে। অনবদ্য এক শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষককেও। বাংলাদেশ পায় কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা।
গোল হজম করে মরিয়া হয়ে ওঠে ভুটান। দ্রুত একাধিক আক্রমণ সাজায় দলটি। কর্ণারের বিনিময়ে কয়েক দফা বাঁচে বাংলাদেশ। ৪২ মিনিটে তৃষ্ণা আসেন দৃশ্যপটে। একা ঢুকে যান রক্ষণে। শেষ পর্যন্ত ভাঙতে পারেননি ডেড লক। বাংলাদেশও আর পারেনি লিড বাড়াতে।