বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ক্রিকেটার ও ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মাঝে উৎসাহ ও মানসিক শক্তি বাড়াতে তাদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের ক্রিকেটে এই সংস্কৃতিটা আগেও ছিল, মাঝে হারানোর পর আবারও ফিরছে।

১৯ বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে বিসিবি আওয়ার্ড নাইট। ২০০৬ সালের পর থেকে ক্রিকেট এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করার সংস্কৃতিটা হারিয়ে গিয়েছিল। গতকাল সোমবার (৩০ জুন) বিসিবির বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের পর তা আবার ফিরতে যাচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও পরিকল্পিত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আরো ভালোভাবে এটিকে ফিরিয়ে আনতে চায় বিসিবি। পুরস্কার প্রদানের এই প্রথা আবারও চালু করার পর এর ধারাবাহিকতাও ধরে রাখতে চায় ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড সভার শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

আওয়ার্ড নাইট সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি জানান, ‘আমরা খেলোয়াড়দের মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি পুরো ইকোসিস্টেমকে সম্মান জানাতে চাই। এই অ্যাওয়ার্ড নাইট হবে নিয়মিত আয়োজন, শুধু একবারের জন্য নয়। এর জন্য ৪-৫ বছরের একটি পরিকল্পনা করছি।’

‘হাই পারফরম্যান্স ফর অল’ এই প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ক্রিকেটারদের সাথে ক্রিকেটের সাথে সংশ্লিষ্ট মাঠের বাইরের নায়করাও পুরস্কৃত হতে যাচ্ছেন। ক্রিকেটারদের সাথে ক্রীড়া সাংবাদিক, সংগঠক ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও এই পুরস্কারের আওতায় থাকবেন।

বুলবুল বলেন, ‘এটা আমাদের প্রোগ্রামেরই একটা অংশ। ‘হাইপারফরম্যান্স ফর অল’—এটার লক্ষ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের মনোবল বৃদ্ধি করা বা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যারা আছেন সকলের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য আমরা পুরস্কার দেবো।’

বছর শেষে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করার এই সংস্কৃতিটা ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট বোর্ডে চালু আছে। বিসিবির এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে মাঠে ক্রিকেটারদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতাও বাড়বে। সেই সঙ্গে ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝেও দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।