কে হচ্ছেন টেস্টের নতুন অধিনায়ক?

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যেন ব্যর্থতা ঘিরে ধরেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে গলে ফিরে আশার কিছুটা আশা জাগালেও কলম্বো টেস্টে ভরাডুবি দিয়ে আবারও ফিরে এসেছে আগের রূপে। ইনিংস ব্যবধানে হারের বিপর্যয়ের দিন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ঘোষণা দিলেন তিনি অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন। যদিও বিসিবি জানত না যে শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়বেন। এরপরই আলোচনা শুরু হয়েছে নতুন অধিনায়ক কে হচ্ছেন সে বিষয়টি নিয়ে।
লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের নতুন নেতৃত্বের প্রসঙ্গ আসলে সবার আগে আসে নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের নামই। কেননা শান্তর সহযোগী হিসেবেও ছিলেন তিনি। শান্তর অনপুস্থিতিতে দল পরিচালনার অভিজ্ঞতাও আছে মিরাজের।
তবে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসও এই তালিকায় থাকবেন স্বাভাবিক ভাবেই। বর্তমানে জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার তালিকায় যারা আছেন, তাদের মধ্যে এই দুজনই আছেন ওপরের দিকে। দুজনই এখন টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ। ছন্দেও আছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে শান্তর কথা ধরলেও লিটন ও মিরাজের নামই আসে। কেননা সদ্য সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মনে করেন ড্রেসিংরুমে তিনজন অধিনায়ক থাকলে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাদা বলের ক্রিকেটের দুই অধিনায়কের একজনই আসতে পারেন তার জায়গায়। এখন দেখার বিষয় বিসিবির সিদ্ধান্ত আসে কার পক্ষে।
মিরাজের আগেও টেস্টে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে। শান্তর অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পুরো একটি সিরিজেই নেতৃত্ব দেন মিরাজ। দুই ম্যাচের সেই সিরিজে তার নেতৃত্বে দেশের বাইরে ১-১ ড্র নিয়েই ফিরেছিল টাইগাররা। ২০২৪ সালের ২২-২৬ নভেম্বর আন্টিগাতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ২০১ রানে হারায় ক্যারিবিয়ানরা। এরপর ৩০ নভেম্বর -৩ ডিসেম্বর কিংস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে ১০১ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
শান্তর অনুপস্থিতিতে মিরাজেরও যেহেতু অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে এবং দেশের বাইরে টেস্ট ড্র করে আসার অভিজ্ঞতা আছে, সেক্ষেত্রে তাকেই এগিয়ে রাখা যায় এখানে। লিটন দাসকেও অবশ্য বিবেচনায় না রাখার সুযোগ নেই।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তিন সংস্করণে অধিনায়ক হওয়ার আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছিলেন শান্ত। সেবার ১-১ ব্যবধানে ড্র হয় সিরিজটা। অভিজ্ঞতার কারণেই পরে দায়িত্ব পেয়ে যান স্থায়ীভাবে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হঠাৎই শান্তকে সরিয়ে মিরাজকে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেয় বিসিবি। কলম্বো টেস্টের আগেই গুঞ্জন উঠেছিল শান্ত টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়তে পারেন। তবে সেই টেস্টের আগে খেলায় মনোযোগ দিতে গণমাধ্যমে সেই বিষয়টি খোলাসা করেননি তিনি। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ভরাডুবির পর অনেকটা অভিমান নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানালেন।