পিএসজিকে মাটিতে নামিয়ে আনল ব্রাজিলের ক্লাব

পুরো ম্যাচে বল দখলের লড়াই, গোলের জন্য শট; সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল পিএসজি। শক্তির বিচারেও এগিয়ে ছিল তারাই। তবে ইতিহাস লিখতে হলে তো সব বাধাকে মাড়িয়ে যেতে হয়। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগো করল সেটাই। সদ্য ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়ে নাম লিখলো ইতিহাসে।
আজ শুক্রবার (২০ জুন) সকালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ইগর জেসুস।
এ জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেলো বোটাফোগোর পরের রাউন্ডে খেলা। ২ ম্যাচে সবগুলো জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে তারা। দুই ম্যাচে এক জয় আর এক হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে পিএসজি। দুই ম্যাচ খেলে এখনো কোনো জয় পায়নি আতলেতিকো মাদ্রিদ আর সেটেলার সাউন্ডার্স। যথাক্রমে ৩ ও ৪ নম্বরে আছে তারা।
পুরো ম্যাচে ৭৫ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য ৮টি শট নেয় পিএসজি। এর মধ্যে লক্ষ্যে রাখতে পারে মোটে ২টি। বিপরীতে ২৫ শতাংশ বল দখলে রেখে ৪টি শট নিয়ে সবগুলোই লক্ষ্যে রাখে বোটাফোগো।
ম্যাচের শুরুর চিত্র অবশ্য ভিন্ন ছিল। দ্বিতীয় মিনিটেই বোটাফোগোর জালে শট নেয় খভিচা কভারাতসখেলিয়া। তার শট আটকে দেন বোটাফোগোর গোলরক্ষক। তিন মিনিট পরে একই জায়গা থেকেই আরেকটি শট নেন তিনি। এবার সেটা চলে যায় বাইরে দিয়ে।
এরপরই খেলার গতি কিছুটা কমে যায়। সেই ধারার বিপরীতে গিয়ে ৩৬ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ইগোর জেসুস। জেফারসন স্যাভারিনিও মাঝমাঠ থেকে থ্রো বাড়ায় জেসুসের উদ্দেশ্যে। পাশে থাকা দুই মার্কারের মাঝ দিয়ে শট নেন তিনি। পিএসজি ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল গিয়ে জড়ায় জালে। দোন্নারুম্মার দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
গোল হজম করে তেতে ওঠে পিএসজি। আক্রমণ চালায় বোটাফোগের গোলে। ৪০তম মিনিটে কর্ণার থেকে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা। কিন্তু সেটাকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক জন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরানোর কাছে গিয়েছিল পিএসজি। কিন্তু বোটাফোগোর গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। বক্সের বাইরে ডানপাশ থেকে ভিতিনহার নেওয়া সেটপিসে গায়ে ছুঁয়েছিলেন গঞ্জালো রামোস। কিন্তু সেটাকে কোনো আটকে দেয় জন।
৫২ মিনিটে স্যাভারিনিও হেড আটকে দেন দোন্নারুম্মা। ৭৮ মিনিটে পিএসজি ফরোয়ার্ড বারকোলা জালে বল জড়িয়েছিল একবার। কিন্তু অফসাইডের কারণে কাটা পড়ে সেটি। বাকি সময়ে চেষ্টা করেও আর কোনো গোল বের করতে পারেনি পিএসজি।