সিঙ্গাপুর ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশের কী লাভ?

টিক টিক করে ঘুরছে ঘড়ি, আর বাড়ছে দর্শকের উন্মাদনা। বাংলাদেশ এর আগেও খেলেছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকাতেও খেলেনি কম ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও এই মাঠে খেলেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবু আগামীকাল মঙ্গলবারের (১০ জুন) ম্যাচ ঘিরে যে আগ্রহ, তা আগে কখনও ছিল না।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ। এমন নয়, এটি গ্রুপের শেষ ম্যাচ। হারলে মূলপর্বে যেতে পারবে না বাংলাদেশ। গ্রুপে মাত্রই দ্বিতীয় ম্যাচ এটি। অথচ, কী তুমুল উত্তেজনা। জাতীয় স্টেডিয়ামে সাজ সাজ রব। ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশের আসলে লাভ কী?
দেশের মাটিতে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহমিদুল ইসলামদের একসঙ্গে দেখা যাবে যেদিন, সেদিন লাভ-ক্ষতির হিসেবটা বোধহয় একপাশেই থাকবে। নানা কারণে অবশ্য ম্যাচটি জেতা গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে যে জোয়ার এসেছে, টিকিটের জন্য হাহাকার, গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যাওয়া, প্রিয় তারকাকে দেখতে মাঠের মধ্যে দর্শকের অনাহূত প্রবেশ—এসব বার্তা দেয় নতুন দিনের।
কদিন আগেও ফুটবলপাড়া ছিল নিরস। সেখানে এখন আলোর রোশনাই। স্পন্সরের অভাব নেই, ঢাকা স্টেডিয়াম সেজেছে নতুন রূপে। ফুটবলকে আবার আপন করে নিয়েছে সবাই। এমন ম্যাচে জয় মানে নতুন শুরুর দুয়ার পুরোপুরি খুলে দেওয়া।
মহারণ বলা যায় এই ম্যাচকে? বোধহয় যায়! র্যাঙ্কিংয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষেও ফেভারিট বাংলাদেশ। কদিন আগেও এমন ভাবনা ছিল বাতুলতা। অথচ বাংলাদেশ এখন সেই বিলাসিতাটুকু করতে পারছে। স্বাগতিক অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেই দিয়েছেন, জিততে হবে আমাদের।
আজ সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, ‘আমাদের পারফর্ম করতে হবে। কতজন আসবে, এটা আসলে ম্যাটার করে না। আমাদের জিততে হবে। দেশের জন্য পারফর্ম করতে হবে। চাপ অবশ্যই বেশি, সেটি আমরা দেখতে পাচ্ছি। অনুভব করছি। কিন্তু খেলার সময় সব ভুলে আমাদের ভাবতে হবে, কীভাবে আমরা জিততে পারি।’