কোহলি এখন সত্যিই ‘বিরাট’

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম ট্রফি মানে বিরাট কোহলির জন্যেও প্রথম। ১৮ নম্বর জার্সি পরে ১৮ বছর ধরে খেলে যাচ্ছেন একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। সাদা বলের ক্রিকেটে তার অপূর্ণতা বলতে ছিল একটা আইপিএল ট্রফি না পাওয়া। সাফল্যের মুকুটে সেই পালক যুক্ত হলো আইপিএলের ১৮তম আসরে এসে।
রজত পাতিদারের অধিনায়কত্বে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে আরসিবি প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে। ফাইনালে কোহলি ধীরগতির ইনিংস খেললেও তার ৩৫ বলে ৪৩ রান ছিল বেঙ্গালুরুর দলীয় সর্বোচ্চ। খেলা শেষ হতে যখন আর চার বল বাকি আর পাঞ্জাবের জয়ের জন্য দরকার ২৯ রান, আরসিবির জয় প্রায় নিশ্চিত বলা যায়, সামনে আসে কোহলির ভেজা চোখ। ম্যাচ শেষে আনুশকা শর্মাকে জড়িয়ে ধরেও কাঁদতে দেখা গেছে তাকে। এই কান্নাভেজা চোখ আক্ষেপের নয়, কান্না ছিল সাদা বলের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দেওয়ার।

কোহলির সামনে এর আগে যে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ আসেনি তা নয়। ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ তিনবার ফাইনাল হারের পর চতুর্থবার এসে আর আক্ষেপ করতে হলো না। আসরে আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ রান (৬৫৭) সংগ্রাহক হয়েই দলকে নিয়ে জিতলেন ট্রফি।
দীর্ঘ ১৮ বছরে কোহলি বেঙ্গালুরুর জার্সি গায়ে ২৬৭টি ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৮ হাজার ৬৬১, যা আইপিএলে সর্বোচ্চ। আইপিএলে সর্বাধিক চার মারার রেকর্ডটাও রয়েছে তার নামের পাশে।
২০০৮ সালে জিতেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, সাদা বলের ক্রিকেটে তার উত্থানের শুরুটা এখান থেকেই। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হারলেও ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুতে ২০১১ সালে পেয়ে গেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফি। গত এক বছর কোহলির অর্জনের খাতা ভারী হয়েছে অনেক বেশি। জিতেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

দলীয় অর্জনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্জনে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন আরও আগে। সাদা বলের ক্রিকেটের দুইটি বিশ্বকাপেই টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটাও পেয়েছেন। এমনকি আইপিএলেও এক সিজনে সর্বোচ্চ ৯১৬ রান করে রেকর্ডটা নিজের নামের পাশে রেখেছেন বেঙ্গালুরুর এই কিংবদন্তি। বাকি ছিল শুধু আইপিএল ট্রফিটা, যেটিও যুক্ত হ লো অর্জনের খাতায়।