আইপিএলের রাজা এখন বেঙ্গালুরু

চোখ রাঙালির পরাজয়ের ভয়। আরও একবার তীরে এসে ডুবতে চেয়েছিল তরী। ১১ জন মিলে সেই তরীকে টেনে ধরেন। যা হয় হোক, হাল ছাড়া যাবে না। আইপিএল ২০২৫ এর ফাইনালে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে আহমেদবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দেখেছে রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনাল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু যেখানে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে সবটা উজাড় করে জয় ছিনিয়ে এনেছে। ফাইনালে পাঞ্জাবকে ৬ রানে হারিয়ে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু প্রথমবারের মতো উঁচিয়ে ধরেছে আইপিএলের শিরোপা।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯১ রান করে বেঙ্গালুরু। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৪ রানে থামে পাঞ্জাব।
এবারের আইপিএলে ১৯০ রান করে জয়ের আশা করাকে বিলাসিতা বললে ভুল হবে না। যেখানে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দুইশ ছাড়িয়েছে রান। আহমেদাবাদে প্রথম ইনিংসে এটাই সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। তবে ক্রুনাল পান্ডিয়ার কিপটে বোলিংয়ে বদলে গেছে সব হিসাব-নিকাশ। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই ব্যবধানই ঘোচাতে পারেনি পাঞ্জাব।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই মন্থর ব্যাটিং করেছে পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রভসিমরান সিং আর প্রিয়াংশ আর্য। দেখে শুনে শুরু করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি কেউই। প্রিয়াংশ ১৯ বলে ২৪ আর প্রভসিমরান ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন।
কিছুটা খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে খেলার চেষ্টা করছিলেন জস ইংলিশ। তাকে ফিরিয়ে পাঞ্জাবের কোমড় ভেঙে দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ফেরার আগে এক চার আর ৪ ছক্কায় ২৩ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।
দায়িত্ব নিতে পারেননি কোয়ালিফায়ারের নায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ২ বলে মাত্র ১ রান করে ফিরেছেন শেফার্ডের বলে। মিডল অর্ডারে নেহাল ওয়াধেরার টেস্ট সুলভ ব্যাটিং পাঞ্জাবের দুঃখ বাড়িয়েছে আরো। তিনি ফিরেছেন ১৮ বল থেকে ১৫ রান।
বাকিদের ব্যর্থতার ভীড়ে চেষ্টা করে গেছেন শশাঙ্ক সিং। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। তার বিধ্বংসী ইনিংসটি কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ৩ চার আর ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ৩০ বলে ৬১ রানের ইনিংসটি।
এর আগে কোহলি দায়িত্বশীল ইনিংস আর রোমারিও শেফার্ড ও জিতেশ শর্মার ছোট্ট ক্যামিওতে ১৯০ রান তুলেছিল বেঙ্গালুরু। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছিলেন কোহলি। আর শেষদিকে জিতেশ ১০ বলে ২৪ আর শেফার্ড ৯ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলেন।
সংক্ষিপ স্কোর
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৯০/৯ (সল্ট ১৬, কোহলি ৪৩, আগারওয়াল ২৪, রজত ২৬, লিভিংস্টোন ২৫, জিতেশ ২৪, শেফার্ড ১৭, ক্রুনাল ৪, ভুবনেশ্বর ১, দায়াল ১*; আর্শদ্বীপ ৪-০-৪০-৩, জেমিসন ৪-০-৪৮-৩, ওমরজাই ৪-০৩৫-১, ভিজায়কুমার ৪-০-৩০-১, চাহাল ৪-০-৩৭-১)
পাঞ্জাব কিংস: ১৮৪/৭ (আর্য ২৪, প্রভসিমরান ২৬, ইংলিশ ৩৯, শ্রেয়ার্স ১, ওয়াধেরা ১৫, শশাঙ্ক সিং ৬১*, স্টয়নিস ৬, জেমিসন ০*; ভুবনেশ্বর ৪-০-৩৮-২, দায়াল ৩-০-১৮-১, হ্যাজেলউড ৪-০-৫৪-১, ক্রুণাল ৪-০-১৭-২, শশাঙ্ক ২-০১৯-০, শেফার্ড ৩-০-৩০-১)
ফলাফল : বেঙ্গালুরু ৬ রানে জয়ী