ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ম্যাক্সওয়েল

শচীন টেন্ডুলকারের কাছে ইনিংসটি ছিল তার জীবনে দেখা সেরা ইনিংস। প্যাট কামিন্স জানিয়েছিলেন, এটিই সর্বকালের সেরা। ২০২৩ ওয়োনডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দেখেছিল অতিমানবীয় এক গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে পুরো বিশ্বকাপের মেজাজ বদলে দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল, যে ইনিংস গড়ে দেয় অসিদের বিশ্বজয়ের ভিত।
১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখানো ম্যাক্সওয়েল বিদায় জানালেন ওয়ানডে ক্রিকেটকে। আজ সোমবার (২ জুন) ফাইনাল ওয়ার্ড পডকাস্টে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
অসি এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি যখন শুরু করি, তখন মনে হয় আমি সময়ের আগেই এবং হঠাৎ করেই নির্বাচিত হয়েছিলাম। শুধু অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কয়েকটি ম্যাচ খেলা, সেটিই ছিল আমার জন্য গর্বের বিষয়। আমি ভেবেছিলাম এর বেশি কিছু হবে না। এরপর আমি বিভিন্ন উত্থান-পতন পার করেছি। দল থেকে বাদ পড়ে আবার ফিরে এসেছি। কয়েকটি বিশ্বকাপ খেলেছি কিছু দুর্দান্ত কিছু দলের অংশ হয়ে ছিলাম।’
ম্যাক্সওয়েল ৩৬ বছর বয়সে অবসর নিলেন ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে। ২০১৫ ও ২০২৩ সালের দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অসি দলের খেলোয়াড় ছিলেন ম্যাড ম্যাক্স। ওয়ানডেতে ১৪৯ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ১২৬.৭০ স্ট্রাইক রেটে ম্যাক্সওয়েল করেছেন ৩ হাজার ৯৯০ রান। বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৭৭ উইকেট। ২৩টি অর্ধশতকের পাশাপাশি করেছেন ৪টি শতক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে তার ক্যারিয়ারসেরা ২০১ রানের ইনিংসের কথা মনে থাকবে সব ক্রিকেটপ্রেমীর।
২০১২ সালের ২৫ আগস্ট ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হন ম্যাক্সওয়েল। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরুটা ভালো হয়নি। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিলেন ২ রান, বোলিংয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে, ২০২৩ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই অতিমানবীয় ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান সেমিফাইনালে।
ওয়াংখেড়েতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারের যখন শঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া এবং টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার ভয়ে, তখনই ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান সেমিতে। এরপর ফাইনালে ভারতকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে অসিরা হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
ম্যাক্সওয়েল তার সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০২৫ সালের ৪ মার্চ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে। ব্যাট হাতে সেই ম্যাচে করেন ৭ রান এবং বল হাতে শুরুর মতোই ছিলেন উইকেটশূন্য।