রোনালদোর দিকে তাকিয়ে পর্তুগাল

ক্লাবের পক্ষে যত সাফল্য পেয়েছেন, জাতীয় দলের হয়ে তার সিকিভাগও বোধহয় পাননি ক্রিস্টিয়ান রোনালদো। সামনেই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা ইউরো। ইউরোপের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতায় দেশের সেরা তারকাকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছে পর্তুগিজরা। পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসেরও রোনালদোর ওপরে অগাধ আস্থা।
ফিফা র্যাংকিংয়ে আট নম্বরে থাকা পর্তুগাল টানা ষষ্ঠবারের মতো ইউরোতে খেলতে যাচ্ছে। ‘এফ’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও আইসল্যান্ড। ১৫ জুন প্রথম ম্যাচ আইসল্যান্ডের বিপক্ষে। বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে আলবেনিয়ার কাছে হেরে গেলেও টানা সাত ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই ইউরোর টিকেট হাতে পেয়েছে পর্তুগাল।
বাছাইপর্বের সাফল্যই পর্তুগিজদের আশাবাদী করে তুলেছে। আশাবাদের সবচেয়ে বড় কারণ অবশ্যই রোনালদোর দুর্দান্ত ফর্ম। এ মৌসুমে রিয়ালের জার্সি গায়ে ৫১টি গোল করেছেন ‘সিআরসেভেন’। সর্বোচ্চ ১৬ গোল করে রিয়ালের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের প্রধান নায়কও তিনি।
ক্লাবের মতো জাতীয় দলের জার্সিতেও রোনালদোর উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায় ফার্নান্দো সান্তোস। স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক মার্কাকে পর্তুগাল কোচ বলেছেন, ‘(রিয়াল) মাদ্রিদে সে যদি এত গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে একবার ভাবুন পর্তুগালের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এক মৌসুমে ৫০-৬০টা গোল করা আর সবসময় গোল করতে পারদর্শী কোনো খেলোয়াড় দলে থাকলে তার গুরুত্ব সম্পর্কে নিশ্চয়ই বাড়তি কিছু বলার দরকার নেই।’
এমন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় অবশ্য এখনো পর্তুগালকে বড় কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা এনে দিতে পারেননি। রোনালদোর উপস্থিতিতে ২০০৪ সালের ইউরোতে রানার্সআপ হওয়াই পর্তুগিজদের সেরা সাফল্য। চার বছর আগের ইউরোতে সেমিফাইনালে উঠলেও স্পেনের কাছে টাইব্রেকারে হেরে গিয়েছিলেন রোনালদোরা।
এবার তাই তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের সামনে ব্যর্থতা ঘোচানোর মিশন। কোচ সান্তোস অবশ্য দলের সেরা তারকাকে অতিরিক্ত চাপে ফেলতে রাজি নন, ‘ক্রিস্টিয়ানোর পক্ষে একা শিরোপা জেতানো সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ একক প্রচেষ্টায় কেউই ম্যাচ জেতাতে পারে না। তারও অন্যদের কাছ থেকে সাহায্য প্রয়োজন। তবে নিঃসন্দেহে মাদ্রিদের চেয়ে সে আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’