আবার মাঠে ফুটবলারের মৃত্যু

ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়ের মৃত্যু নতুন কিছু নয়। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার সর্বশেষ ‘বলি’র নাম প্যাট্রিক একেং। রুমানিয়ার ডায়নামো বুখারেস্টের হয়ে খেলতে গিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ক্যামেরুনের এই মিডফিল্ডার।
শুক্রবার রুমানিয়ার প্রথম বিভাগ লিগে ভিতোরুলের মুখোমুখি হয়েছিল ডায়নামো বুখারেস্ট। একেং প্রথম একাদশে ছিলেন না, মাঠে নেমেছিলেন ৬৩ মিনিটের সময়। সাত মিনিট পরই সেই দুঃখজনক ঘটনা। কারো সঙ্গে সংঘর্ষ নয়, বরং নিজে নিজেই মাঠের মধ্যে পড়ে যান একেং। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করেও একেংকে বাঁচানো যায়নি।
২০০০ সালে কাতালিন হালদান নামে ডায়নামোর আরেক ফুটবলার খেলতে-খেলতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। একইভাবে আরেকজনকে হারিয়ে ক্লাবটির নির্বাহী পরিচালক ইওনেল দানচুলেস্কু মর্মাহত, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। এটা যেন একটা দুঃস্বপ্ন। আমার পক্ষে, দলের পক্ষে আর সব ডায়নামো সমর্থকের পক্ষে এটা মেনে নেওয়া কঠিন। মনে হচ্ছে আমরা যেন অভিশপ্ত।’
মাত্র ২৬ বছর বয়সে একেংয়ের এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ক্যামেরুনের অধিনায়ক স্টেফান এমবিয়া। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের ক্যামেরুন ফুটবল পরিবার আজ একজন ভাইকে হারাল। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। তার পরিবারের জন্য সমবেদনা। প্যাট্রিক একেংয়ের আত্মার শান্তি কামনা করি।’
গত জানুয়ারিতে ডায়নামো বুখারেস্টে যোগ দেওয়ার আগে প্রায় দেড় বছর কর্দোবার হয়ে খেলেছিলেন একেং। স্প্যানিশ ক্লাবটিও এমন ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদে শোকাহত, ‘প্যাট্রিক একেংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার ভাষা আমাদের জানা নেই। আপনাকে হারিয়ে আমরা শোকাচ্ছন্ন। আমরা আপনাকে কখনোই ভুলব না বন্ধু।’
২০০৩ সালের কনফেডারেশন্স কাপে কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলার সময় মাঠেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয়েছিল একেংয়ের স্বদেশি মার্ক-ভিভিয়ান ফোর। ফুটবলের সাম্প্রতিক ‘বলি’র নাম গ্রেগরি ম্যার্টেন্স। গত বছরের এপ্রিলে বেলজিয়ান ক্লাব লোকার্নের হয়ে খেলার সময় হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁরও। তিন দিন পর হাসপাতালে মারা যান তিনি।