শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মেসি-রোনালদো-নেইমার

লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম এ তালিকায় থাকা একেবারে অবধারিত। ফিফা ব্যালন ডি’অরের তালিকায় এবারো আছেন ফুটবলের দুই মহাতারকা। তাঁদের সঙ্গীর নাম অনুমান করাও কঠিন নয়—নেইমার। সোমবার ফুটবলের সেরা পুরস্কারের জন্য ঘোষিত সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন এই তিনজনই। আগামী ১১ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এক জমকালো অনুষ্ঠানে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের নাম ঘোষণা করা হবে।
ফুটবল বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের একটা বিশাল অংশের অনুমান, মেসির হাতে পঞ্চমবারের মতো উঠতে যাচ্ছে পুরস্কারটা। তার কারণও আছে। গত মৌসুমে বার্সেলোনার লা লিগা-চ্যাম্পিয়নস লিগ-কোপা দেল রে জয়ের অন্যতম নায়ক আর্জেন্টিনার তারকাই। ন্যু ক্যাম্পে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল-উল্লাসের পেছনে ৪৮ গোল করা মেসির অবদান অনস্বীকার্য। চোটের কারণে মাস দুয়েক মাঠের বাইরে না থাকলে গোলসংখ্যা নির্ঘাত আরো বেশি হতো।
মেসির মতো রোনালদোরও এ বছর ৪৮টি গোল। তবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে পর্তুগিজ তারকা একটি শিরোপাও জিততে পারেননি গত মৌসুমে। এবারও রিয়ালের অবস্থা ভালো নয়। গত সপ্তাহে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে লা লিগার শিরোপা লড়াই থেকে বেশ পিছিয়ে পড়েছে তারা। গত দুবার সেরা খেলোয়াড় হলেও রোনালদোর ‘হ্যাটট্রিক’ করার সম্ভাবনা কমই বলা যায়।
নেইমার বরং বেশ ভালো অবস্থায়। মেসির অনুপস্থিতিতে লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে এক দুর্ধর্ষ জুটি গড়ে তুলে বার্সাকে লিগের শীর্ষে নিয়ে গেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনেও এখন তিনি।
জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক ও শীর্ষ সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন ২০১৫ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার।